কুমিল্লায় এক বিধবার বাড়িঘর ও সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসীরা ওই পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশ ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে কুমিল্লা নগরীতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার পৌর এলাকার দেবিদ্বার গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও চার সন্তানের মা রফেজা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে রফেজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তাদের মালিকানা সম্পত্তিতে একাধিক টিনশেড পাকা বাড়ি (হোল্ডিং নং-৭৯০/১) নির্মাণ করে তারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। তার স্বামীর মৃত্যুর পর স্থানীয় এএসএম সায়েম ওরফে বিল্লাল তার (বিধবা) ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টাসহ তাদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করে আসছে। অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৫শে ডিসেম্বর বিল্লাল ভাড়াটে লোকজন দিয়ে তার বাড়িতে আক্রমণের চেষ্টা করে। এতে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা চলে যায়।
এ ব্যাপারে ওই বিধবা তার সম্পত্তি রক্ষার জন্য বিল্লালকে বিবাদী করে ৩০শে ডিসেম্বর কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে আদালত ওই সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখাসহ অভিযোগের তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দেবিদ্বার থানার ওসিকে আদেশ দেন। পরদিন থানার এসআই আলমগীর হোসেন আদালতের আদেশ অনুযায়ী শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিল্লালকে নোটিশ দেন। রফেজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আদালতে মামলা দায়েরের বিষয়টি জানার পর বিল্লাল ও তার লোকজন ভাঙচুরসহ তার সম্পত্তিতে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে। এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাকে ও সন্তানদের হত্যা, গুমসহ এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তিনি পিতৃহারা সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে সায়েম ওরফে বিল্লাল বলেন, তিনি তার বোন ও ভগ্নিপতির নিকট থেকে এক শতক সম্পত্তি খরিদ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে রফেজা বেগম তাদের নিকট থেকে একই জমি খরিদ করলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর ও হুমকির অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন। দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, ওই মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিল্লাল ও তার লোকজনের স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।