× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন /বাংলাদেশ, চীন মিয়ানমার সচিব পর্যায়ের বৈঠক ১৯শে জানুয়ারি

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৪ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার  
। চীনের মধ্যস্থতায় আগামী ১৯শে জানুয়ারি ঢাকায় হবে সেই বৈঠক। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, প্রত্যাবাসন নিয়ে নিউ ইয়র্ক, ঢাকা ও বেইজিংয়ে মন্ত্রী পর্যায়ে ৩ দফা ত্রিদেশীয় বৈঠক হলেও পুনর্নির্বাচিত অং সান সুচি সরকার এবার তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে বৈঠকটি সচিব পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। মিয়ানমারে নতুন সরকার আসার পর থেকেই মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের চেষ্টা করছিল চীন, কিন্তু দেশটির সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত বেইজিংয়ের চাপাচাপিতেই মিয়ানমার সচিব পর্যায়ে বৈঠকে রাজি হয়েছে। উল্লেখ্য, মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটি বেইজিংয়ে হওয়ার প্রস্তাব ছিল, ঢাকারও এতে সম্মতি ছিল। সচিব পর্যায়ের বৈঠক বিষয়ে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন কথা বলেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শীতের পিঠাপুলি ও গান বিষয়ক এক অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে আগামী ১৯শে জানুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে একটি বৈঠক হবে।
চীনের উদ্যোগেই বৈঠকটি হচ্ছে। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হবে বলেও আশা করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, গত বছর জানুয়ারিতে আমাদের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছিল তাতে কিছুটা ডেভেলপমেন্ট হয়েছিল। মিয়ানমার এমনিতে কোনো কিছুর উত্তর দিতে চায় না। খালি বলে পরে জানাবে। এরপর করোনা ও তাদের দেশে নির্বাচনের অজুহাত দিয়ে বৈঠক করেনি। গত ৯ই জানুয়ারি সচিব পর্যায়ে বৈঠকের প্রস্তাব ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু মিয়ানমার সেটা পিছিয়ে দেয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মুহূর্তে মিয়ানমার সফরে রয়েছেন। সেই কারণে মিয়ানমার বৈঠকটি পিছিয়ে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সচিব পর্যায়ের বৈঠকটির নতুন তারিখ হয়েছে। এটি ১৯শে জানুয়ারি ঢাকায় হবে। এতে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে এ পর্যন্ত আমরা ৮ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাঠিয়েছি। কয়েক দফায় তা পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা। কিন্তু দুঃখজনক হলো, মিয়ানমার খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে। দেশটির আন্তরিকতার খুব অভাব। তারা এ পর্যন্ত ৪২ হাজার রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাই-বাছাই করেছে। এরমধ্যে প্রায় ২৮ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অধিবাসী ছিল বলে স্বীকার করেছে। বাকি ১৪ হাজারের কোনো তথ্য মিয়ানমার তার তথ্য ভাণ্ডারে নেই বলে জানিয়েছে। আগে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে তাদেরও বায়োমেট্রিক তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর