× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের জেল বহাল রাখলো সুপ্রিম কোর্ট

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ১৪, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাই’কে দেয়া ২০ বছরের জেল বহাল রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। জুলুম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ মামলায় প্রথমে তাকে প্রায় ৩০ বছরের জেল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জুলাই মাসে তার এই শাস্তিকে কমিয়ে ২০ বছর করা হয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সেই সাজা বহাল রেখেছে। প্রসিকিউটররা শাস্তি কমিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ছিলেন পার্ক।
ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ২০১৭ সালে। তিনিই তার দেশে প্রথম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, যাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তাকে আদালত ১৮০০ কোটি ওন বা এক কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তাও বহাল রেখেছে। বিবিসি লিখেছে, তাকে প্রথমে আদালত প্রায় ৩০ বছরের জেল দিয়েছিল। জরিমানা করেছিল ২০০০ কোটি ওন। কিন্তু হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ পরে সেই জরিমানা কমিয়ে ১৮০০ কোটি ওন করে। একই সঙ্গে তার শাস্তি কমিয়ে দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা চূড়ান্ত রায়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পার্ক। তাকে অভিশংসিত করা হয়। ২০১৮ সালে ১৮টি অভিযোগের মধ্যে ১৬টিতে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগই ঘুষ ও জবরদস্তি সম্পর্কিত। আদালত রায় দেয় যে, তিনি ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোই সুন-সিনের সঙ্গে মিলে দুর্নীতি করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি জায়ান্ট প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এবং রিটেইল চেইন লোটে’কে লাখ লাখ ডলার দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিকে লোভনীয় চুক্তি করাতে বাধ্য করেন তিনি। এসব কোম্পানির মালিকানা চোইয়ের। এ ছাড়া তিনি চোই এবং তার মেয়েকে উপহার দিয়েছেন বিপুল অর্থ। চোই-এর কাছে অতি গোপনীয় প্রেসিডেন্সিয়াল ডকুমেন্ট ফাঁস করার দায়েও অভিযুক্ত হয়েছেন পার্ক। এই চোই এবং পার্ক দু’জনে শৈশবের বন্ধু। ফলে দ্রুততার সঙ্গে পার্কের অতি আস্থাশীল ঘনিষ্ঠদের অন্যতম হয়ে ওঠেন চোই। কিন্তু তাদের এমন মাখামাখি সম্পর্ক জনগণের চোখে পড়ে যায়। পার্কের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার সুযোগে তিনি জাতীয় ইস্যুগুলোতে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। এসব নিয়ে দীর্ঘদিন শুনানি হয়। রাজপথে পার্কের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ হয় মাসের পর মাস। শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের মার্চে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এর ফলে তিনি হন দেশটিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এবং তাকে প্রথম অভিশংসিত করা হয়। অভিশংসিত হয়ে ক্ষমতা হারানোর পর পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর