× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রেললাইনের উপরে ঝুঁকিপূর্ণ সবজি বাজার

বাংলারজমিন

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৫ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাধীন বাজারগুলোর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ বাজার হচ্ছে দাউদনগর বাজার। শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাকে দু’ভাগ করে চলে গিয়েছে ঢাকা-সিলেট রেলপথ। শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এ পৌর শহর। যে কারণে রেললাইনের উভয় পার্শ্বেই রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো। এ ধারাতেই পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে দাউদনগর বাজারের গোড়াপত্তন হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ধীরে ধীরে এ শহরের পরিধিও সম্প্রসারণ করা হয়। এর ফলে শহরের হাট-বাজার, বিপণিবিতান ইত্যাদির সম্প্রসারণ ঘটে দ্রুত। রেললাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা দাউদনগর বাজারের আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে এখন রেললাইন অবধি ঠেকেছে।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রেললাইনের উপরে অস্থায়ীভাবে সবজি বাজার বসে। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, রেললাইনের উপরে বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী সবজির দোকান বসিয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। সেখানে সবজি দোকানিরা রেললাইন ঘেঁষে দোকান বসিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেচাকেনা করছেন। রেলগাড়ি আসার সময় হলে দোকানিরা একপাশে সরে গিয়ে ট্রেন যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এভাবে এই রেললাইন দিয়ে প্রতিদিন ৪ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে আসছে। ট্রেন যাতায়াতের সময় প্রতিবারই ওই দোকানিরা বিপজ্জনক অবস্থা অতিক্রম করে থাকেন। বিশেষ করে বাজারে আসা বয়স্ক লোকদের জন্য এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও জীবনহানিকর বলে মনে করেন বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। ইতিপূর্বে এ ব্যাপারে বহুবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও আদৌ এর কোনো সুরাহা হয়নি। আলাপকালে সবজি বিক্রেতা সোহেল মিয়া বলেন, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও এখানে ব্যবসা করছি। তবে বাজার কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা করলে উপকৃত হবো। আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের ভেতরে কোনো জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে বসি। দোকান নিয়ে না বসলে সংসার চলবে কীভাবে।   এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, আমি এখানে সম্প্রতি যোগদান করেছি তাও অতিরিক্ত দায়িত্বে। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। তবে রেললাইনের পাশে গড়ে ওঠা এ বাজার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি বিষয়টি দেখছি।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বিদায়ী মেয়র মো. ছালেক মিয়া বলেন, ইতিমধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাজারের শেড নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ব্যবসায়ী বেশি হওয়ায় সবাইকে শেডের ভেতরে জায়গা দেয়া সম্ভব হয়নি। নতুন পৌর পরিষদ রেললাইনের পাশে বসা ব্যবসায়ীদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিবে। বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে বাজার কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা করছেন এলাকার সচেতন মহল। অন্যথায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করেন স্থানীয় লোকজন।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর