নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভা নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। নির্বাচনের ৩টি পদে ৪৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ২ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দুয়ার রাজনীতি অঙ্গনে সিংহ পুরুষ হিসেবে খ্যাত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র আসাদুল হক ভূঞা দলের মনোনীত হয়ে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবদলের সাধরণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ধানের শীর্ষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত নির্বাচনে আসাদুল হক ভূঞার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়ে ছিলেন শফিকুল ইসলাম। প্রতীক পেয়ে আসাদুল হক ভূঞার প্রচার-প্রচারণা ছিল শুরু থেকেই তুঙ্গে
অপরদিকে শফিকুল ইসলাম ছিল নিবর প্রচার-প্রচারণা।
প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পৌরশহরের অলি-গলি ছেয়ে গেছে পোস্টার আর ব্যানারে। সবক’টি ওয়ার্ডে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকলেও কিছুটা উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে ৯ নং ওয়ার্ড সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে। প্রচার-প্রচারণায় শেষ পর্যায়ে এখন চলছে হিসাব-নিকাশ। কে কত ভোট পাবেন। কার চেয়ে কে কত ভোটের ব্যবধানে জিতবে। কার কার মাঝে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কে কেমন খরচ করছেন আর ভোট কাড়াকাড়ি এমন নানা সমালোচনা আর জল্পনা-কল্পনা। এত সব জল্পনা আর কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল শনিবার ভোটের জয়-পরাজয়ে কে হাসবে শেষ হাসি সেটি দেখার এখন অপেক্ষা করেছেন পৌরবাসী। এদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবকিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। এখন শুধু ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। পৌরশহরে ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এবারের ভোটে ১৬ হাজার ২৫৬ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সবকিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল থাকবেন। ইভিএম ভোটে কোনোরকম অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ২৮ জনের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। কোনোরকম গোলযোগ যাতে না ঘটে সেই লক্ষ্যে পুরো পৌরশহর নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি আমাদের মোবাইল টিম থাকবে। তাছাড়া ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব মোতায়ন থাকবে। কোনোরকম অনিয়ম হতে দেয়া হবে না। কেউ অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।