× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে এনজিও’র নামে প্রতারণা, নারীসহ আটক ২

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৫ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় এনজিও’র নামে প্রতারণার দায়ে নারীসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। এরা হলোÑ সজল দাশগুপ্ত (৪৫) ও মুক্তা চৌধুরী (৩০)। বৃহস্পতিবার সকালে এই তথ্য জানান বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল করিম।
তিনি জানান, বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের উদয়ন সংঘের সামনে এলিন নামক এনজিও’র নামে কিছু গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আনতে গেলে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বুধবার সন্ধ্যায় সজল ও মুক্তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।  
ওসি আবদুল করিম জানান, আটককৃত সজল দাশগুপ্ত ও মুক্তা চৌধুরীর কাছে তাদের এনজিও সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোনো কাগজ দেখাতে না পারায় তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক সজল দাশগুপ্ত উপজেলার সরোয়াতলী ইউনিয়নের মৃত সমর দাশগুপ্তর ছেলে ও মুক্তা চৌধুরী একই ইউনিয়নের লিটন চৌধুরীর স্ত্রী। এ ব্যাপারে প্রতারণার শিকার স্থানীয় মৃত গোপাল নন্দ ঘোষের স্ত্রী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সজল দাশগুপ্ত ও মুক্তা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের এলিন নামক একটি এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে উপজেলার পোপদিয়া, খরন্দ্বীপ ও আমুচিয়া ইউনিয়ন এলাকায় ৫ শতাধিক লোকজনকে ঋণ দেয়ার কথা বলে ৫০০ টাকা করে ভর্তি ফি হাতিয়ে নেয়।
এর কিছুদিন যাওয়ার পর প্রত্যেক সদস্যের ৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়ার কথা বলে আরো ৩ হাজার টাকা করে জমা নিতে থাকে। পরবর্তীতে গ্রাহকরা তাদের কাছ থেকে টাকা জমার বৈধ কাগজপত্র চাইলে তারা বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।
বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানান গ্রাহকরা। এরপর ১৩ই জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় আমুচিয়া ইউনিয়নের উদয়ন সংঘের সামনে কিছু গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আনতে গেলে গ্রাহকরা সজল ও মুক্তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তারা এনজিওর বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে সজল দাশগুপ্ত ও মুক্তা চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতারণার শিকার স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর