মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্তের বটুলী এলাকার দুটি স্থানে শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের ভেতরে প্রায় ৭০০ মিটার জায়গায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গত ১০ই জানুয়ারি কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের চেষ্টা চালায়। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধায় কাজ বন্ধ রাখে বিএসএফ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ সীমান্তে তাদের টহল জোরদার করেছে। বিজিবি’র ফুলতলা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি’র সূত্রে জানা গেছে, ফুলতলা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধর্মনগরের রাঘনা এলাকা পড়েছে। গত রোববার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের সীমান্তের প্রায় ৭০০ মিটার জায়গায় শূন্য লাইন থেকে ১৫০ গজের ভেতরে ১৮২৪ এর ৭ এস পিলারের উভয় পাশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের চেষ্টা করে। বিএসএফ বেড়া স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের মালামাল এনে মজুত করে রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ওই দিনই বিজিবি-বিএসএফ’র কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাতে বিজিবি বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। বিএসএফ তাতে সম্মত হয়।
গত বুধবার বিকালে সরজমিন জুড়ী সীমান্তের বটুলী এলাকায় গেলে দেখা যায়, বিজিবি’র সদস্যরা সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং টহলও জোরদার করেছে। এ সময় কথা হয় বিজিবি’র ফুলতলা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে শূন্য লাইন থেকে ১৫০ গজের বাইরে বেড়া স্থাপনের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বিএসএফ তা না মেনে ১৫০ গজের ভেতরে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের চেষ্টা চালিয়েছিল। তাৎক্ষণিক জরুরিভাবে নো ম্যান্স ল্যান্ডে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করে আমরা বিএসএফ’র কাছে আপত্তি জানাই। পরে তারা কাজ বন্ধ রাখে। সাক্ষাতে দুই বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবস্থিত বিজিবি’র ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.  কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, জুড়ীর ফুলতলা সীমান্তে বিএসএফ শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু বিজিবি’র বাধায় তারা সেটা করতে পারেনি। বর্তমানে সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।