প্রস্তুতি ম্যাচে নৈপুণ্য দেখিয়ে নির্বাচকদের বার্তা দিয়ে রাখলেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। গতকাল বিকেএসপিতে ৪০ ওভারের ম্যাচে তামিম ইকবাল একাদশকে ৫ উইকেটে হারায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। বল হাতে হাসান মাহমুদের শিকার ৪ উইকেট। ৬ ওভারের স্পেলে তিনি খরচ করেন ২১ রান। হাসানের বলে উইকেট খোয়ান বাংলাদেশের টপঅর্ডার দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এদিন উজ্জ্বল ছিলেন আরেক তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। তার শিকার ক্রিজে থিতু হওয়া সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেনের উইকেট। ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের মলিন নৈপুণ্যের মাঝে ব্যতিক্রম মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
ম্যাচজয়ী ইনিংসে তিনি অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা তামিম একাদশের শুরুটা ছিল মন্থর। তামিম ও লিটন দাস চার ওভারে করেন ১০ রান। ১০ বলে ২ করে লিটন পঞ্চম ওভারে আউট হয়ে যান আল আমিন হোসেনের বলে। তামিম ও শান্ত দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৪০ রান। চতুর্থ বোলার হিসেবে বল হাতে নিয়ে হাসান ফেরান দুজনকেই। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ৪৩ বলে ২৮ করে ধরা পড়েন ইয়াসির আলী চৌধুরীর হাতে। ৩৫ বলে শান্ত করেন ২৭ রান। মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ মিঠুন ১৬ রান করে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে। ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে কিছুটা টানেন সৌম্য ও আফিফ। ইনিংসের একমাত্র ফিফটি জুটি উপহার দেন এই দুই বাঁহাতি। তাদের থামান আরেক বাঁহাতি শরিফুল। পাঁচে নেমে সৌম্য করেন ২ ছক্কায় ৪৬ বলে ২৪ রান। ছয়ে আফিফ স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৩ ছক্কায় করেন ৩২ বলে ৩৫। দুজনের ক্যাচই নেন মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। ২১ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারায় তামিম একাদশ। ৩৭.২তম ওভারে ইনিংস থামে ১৬১ রানে। এদিন বল হাতে সাকিব ছিলেন উইকেটশূন্য, রান দেন ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি।
জবাবে মাহমুদুল্লাহ একাদশের ওপেনার ইয়াসির আলী মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন ব্যক্তিগত ৩ রানে। ২৩ বলে ৯ রান করে রান আউট হয়ে যান সাকিব। ৭ চারে ৪৩ রান করে সাইফ উদ্দিনের বলে উইকেট খুইয়ে সাজঘরে ফেরেন অপর ওপেনার নাঈম শেখ। থিতু হয়ে আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহীমও (৪৮ বলে ২৮)। তবে ৩৬.৫তম ওভারে টার্গেট পার করে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। আগামীকাল নিজেদের মধ্যে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলবে সোমবার।