× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দুই সপ্তাহেই করোনামুক্ত ১০৬ বছরের বৃদ্ধা

অনলাইন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ১৫, ২০২১, শুক্রবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

মাত্র দুই সপ্তাহেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ১০৬ বছর বয়সী এক বৃটিশ নারী। নিজের জন্মদিনের ঠিক আগে আগে হাসপাতাল থেকে কেয়ার হোমে ফিরেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে মেট্রো।
খবরে বলা হয়, করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া ওই নারীর নাম ম্যারি নিকলসন। জীবদ্দশায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি পার করে এসেছেন। এবার নববর্ষের আগের দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। কিন্তু এই দুর্যোগকেও শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছেন তিনি।

নিকলসনের ডাক নাম পলি। তিনি বলেন, আইসোলেশন থেকে বের হওয়ার অনুভূতি ছিল অত্যন্ত আনন্দদায়ক।
সুস্থ হওয়ার পর শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকে অসংখ্য কার্ড ও উপহার পেয়েছেন তিনি।

পলি এখন মেরসিসাইড কাউন্টির সেইন্ট হেলেন শহরের এলিজাবেথ কোর্ট কেয়ার হোম কেয়ারের বাসিন্দা। সেখানকার কর্মীরাই ১২ই জানুয়ারি তার জন্মদিন উদযাপন করেছে। তাকে গান গাইয়ে শুনিয়েছে। কেক কেটেছে। তাকে কার্ড ও উপহার দিয়েছে।

করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে জারি হওয়া লকডাউজনের কারণে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সেদিন দেখা হয়নি তার। তবে পলি জানান, করোনা মহামারি শেষ হলে সবার সঙ্গে মিলে উদযাপন করবেন তিনি।

পলি কখনো বিয়ে করেননি। তার কোন সন্তানও নেই।  তিনি বলেন, এটা বেশ বড় একটা জন্মদিন, ১০৬ তম। আমি চমৎকার অনুভব করছি। নিজেকে উপভোগ করছি। আমি আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না আমার এ জন্মদিন কতটা আনন্দের ছিল। ভাইরাসের জন্য এতদিন আইসোলেশনে থাকার পর উদযাপন করতে পেরে ভালো লাগছে।

তিনি আরো বলেন, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ভালো বোধ করছি। এখন আর আমায় কোনোকিছুই এখন আর আমায় দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমি যথাসম্ভব দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবো। আমি আমার পরিবারকে দেখতে অধীর অপেক্ষায় আছি। আমি তাদের প্রত্যেককে ভালোবাসি। আমার কাছে তারা পুরো দুনিয়ার সমান।
পলির জন্ম প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানে— ১৯১৫ সালের ১২ই জানুয়ারি। পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারান তিনি। তার বয়স যখন ১০, তখন মারা যান তার বাবাও। একা একাই জীবন পার করেন এই নারী। ১০২ বছর পর্যন্ত সেইন্ট হেলেনে নিজের বাড়িতেই বাস করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর