চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় দিনদুপুরে হত্যা মামলার সাক্ষী মো. সাইফুল ইসলাম (২৯)কে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ১৪ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার সময় নিহতের মা কুলসুমা বেগম বাদী হয়ে লোহাগাড়ায় থানায় ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামালা দায়ের করেন। গত বুধবার বিকালে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কালীনগর এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত সাইফুল হারিমুনেরপাড়া এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় চম্পা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ২১শে ডিসেম্বর একই এলাকার তৌহিদ গ্রুপের হাতে মোজাম্মেল হক নামে এক যুবক ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুুন হয়েছিলেন। সাইফুল ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন।
তৌহিদুল ইসলাম জেল থেকে জামিনে বের হওয়ার পর থেকে সাইফুলসহ মোজাম্মেল হত্যা মামলার সাক্ষীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। গেল বুধবার দুপুরে বড়হাতিয়ার পশ্চিমে পাহাড় থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ৭নং ওয়ার্ডে এলে গ্রামবাসী তাদের ধাওয়া করে। গ্রামবাসীর সঙ্গে সাইফুলও ছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীর ওপর বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করলে সাইফুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রাণ বাঁচাতে এলাকাবাসী পালিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা সাইফুলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে মাথা, পা ও পিঠ ক্ষত-বিক্ষত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লোহাগাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোছাইন মাহমুদ বলেন, এই ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ১জনকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হবে। প্রধান আসামিসহ অন্যান্যদেরকে গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে।