ভোলার লালমোহনে প্রেমের টানে কিশোরীর ঘর ছাড়ার ভয়ে মারধর করে শেকলে বেঁধে রাখে বাবা-মা। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় আটক করা হয়েছে কিশোরীর বাবা আবুল কালামকে। গত বুধবার রাতে উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের রায়পুরা কান্দি গ্রাম থেকে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভোলা সেভ কাস্টডিতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা-মাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সফিকুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর ভগ্নিপতির বাড়ি চরফ্যাশনের জিন্নাগড় এলাকায়। ওই বাড়িতে আসা যাওয়ার সূত্রে পার্শ্ববর্তী এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাদের বিয়েও হয় বলে কিশোরী দাবি করে। দুই সপ্তাহ আগে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে ওঠে সে। পরে স্থানীয়রা কিশোরীকে তার বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেয়। সেখান থেকে বাড়িতে এনে তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, কিশোরীকে মারধর করে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। চরফ্যাশনের জিন্নাগড় এলাকার এক ছেলের সঙ্গে কিশোরীর বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করে কিশোরী। কিন্তু কোনো প্রমাণাদি নেই।