× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মঞ্জুর হত্যা মামলায় এরশাদকে অব্যাহতি

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার

মেজর জেনারেল এমএ মঞ্জুর হত্যা মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান।
এ মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফেরও অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন সংস্থাটি। এই দু’জন মারা যাওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এই মামলায় মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিনের নামে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে সিআইডি। ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেছে সিআইডি। দু’জনই মারা গেছেন।
অপর তিনজনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। ২৫শে জানুয়ারি মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। ছয় বছর আগে ২০১৪ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইজীবী আসাদুজ্জামান খান সেদিন আদালতে অধিকতর তদন্ত চেয়ে আবেদন করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ ও অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, তদন্তে ত্রুটি রয়েছে। তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি বলেন, এখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তে অসম্পূর্ণতা রয়েছে। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে ঘটনার অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, মঞ্জুর হত্যা মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদসহ মোট পাঁচজনের বিচার চলছিল। এর মধ্যে এরশাদ ছিলেন অভিযোগপত্রভুক্ত প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- ১৯৮১ সালের ৩০শে মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে এরশাদের নির্দেশে কিছু সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে এরশাদের বিরুদ্ধে বিমানবাহিনীর তৎকালীন প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল সদরউদ্দীনসহ সশস্ত্র বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ও ১৬৪ ধারায় তদন্ত কর্মকর্তা ও আদালতে জবানবন্দি দেন। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে  তাকে পুলিশ আটক করে। এরপর ২রা জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে হাটহাজারী থানার পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে ২৮শে ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর