ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমের টানে প্রেমিকের বাড়িতে চলে যাওয়ায় ক্ষোভে অপহরণ মামলা করেছে প্রেমিকার পিতা। এতে হয়রানি শিকার হচ্ছেন মেয়ের ভালবাসার মানুষসহ তার ভাই-ভাবীরা। ঘটনাটি ঘটেছে, ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাইল গ্রামে।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের পাবরাইল গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে একই গ্রামের আলা উদ্দিনের মেয়ে রত্না আক্তার। প্রায় তিন বছর মন দেয়া-নেয়ার পর সম্প্রতি প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে ওঠেন প্রেমিকা। এতে ক্ষুদ্ধ হন মেয়ে বাবা। পরে ক্ষোভে মেয়ের ভালবাসার মানুষ শহিদুল ইসলাম, তার বড় ভাই শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু শনিবার সকালেও পাবরাইল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রেমিকের বাড়িতেই অবস্থান করছেন কথিত অপহৃতা প্রেমিকা।
এসময় বিয়ের দাবিতে অবস্থান করা প্রেমিকা রত্না আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ভালবেসে মনের মানুষকে বিয়ে করতেই আমি এ বাড়িতে নিজেই চলে এসেছি। এখন আমার বাবা না বুঝেই আমার হবু স্বামীসহ তার বড় ভাই-ভাবীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
আর এ মামলা করতে সহযোগিতা করেছেন আমার বড় চাচা সাহাবুদ্দিন ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গাগীর আলম। তিনি এ মিথ্যা মামলার করায় বাবার বিরুদ্ধে আলাদতে স্বাক্ষী দেবেন বলেও জানান।
এ ঘটনায় প্রেমিক শহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। তবে তার বড় ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, বিয়ের দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে ওঠেছে রত্না। আমরা তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে অনুরোধ করছি। কিন্তু সে যাচ্ছে না। অথচ কোন এক প্রভাবশালী নেতার বুদ্ধিতে আমাদের নামে অপহরণ মামলা করেছে মেয়ের বাবা। এতে আমরা চরম হয়রানি শিকার হচ্ছি। তিনি এসময় দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
Nazmul
১৬ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার, ১১:৩২এই ধরনের মিথ্যা মামলা করার জন্য মেয়ের সাক্ষীর ভিওিতে মেয়ের বাবাকে জেলে পোরা উচিৎ যাতে ভবিষৎতে সেচ্ছায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করা মেয়ের বর ও বরের আত্নীয়দের বিরুদ্বে মিথ্যা অপহরন মামলা করার আগে দশবার চিন্তা করে। পুলিশকেও এই পরিস্থতিতে অপহরন মামলা নেওয়ার আগে প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে। এই সংক্রান্ত আইনের পরিবরতন দরকার যাতে এই ধরনের প্রতিহিংশামূলক আচরন বন্ধ করা যায়।