× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর

বাংলারজমিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে গতকাল নির্বাচন শেষ হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘলাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে নারী ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করে। দুপুরের পর পুরুষ ভোটারদের ব্যাপকহারে ভোট দিতে দেখা যায়। দুপুর ১২টার মধ্যে ৬৩% ভোট ভোট হওয়ার কথা জানান কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা। সকালে শৈলকুপা পৌর এলাকার শাহী মসজিদ এলাকার ভোটকেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেয়। খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকজন পরিবেশ ফিরিয়ে আনে।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার খুলনা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আযম ও স্বতন্ত্র জগ মার্কা প্রতীকের প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খানের সমর্থকদের মাঝে প্রথমে উত্তেজনা ও পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আহত হয় দুইজন। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে ঝাউদিয়া ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের গাড়ি ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান অভিযোগ করেন, বেলা ১২টার দিকে ঝাউদিয়া ভোটকেন্দ্রে গেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জুয়েল আহমেদ জানান, নির্বাচনে ১টি মেয়র পদের বিপরীতে ৪ জন, ৯টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৩৬ জন ও ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শৈলকুপা পৌরসভায় মোট ভোটার ছিল ২৮ হাজার ৬৩২।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ১১৩ ও মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৫১৯ জন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন কেন্দ্রে ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, শহরে দুই প্লাটুন বিজিবি, ৪শ’ পুলিশ সদস্য এবং ১৩৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করার কারণে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর