× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যদি সেমি কোলনটি না থাকতো তাহলে...

এক্সক্লুসিভ

কাজল ঘোষ
১৬ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার

সেটেলম্যান্টটি ছিল শুধুমাত্র শুরু। ফোরক্লোজার সংকটের সমাধান সহজ করতে বাড়ির মালিকদের জন্য চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকগুলো অর্থ ছাড়ে বেশকিছু নীতিমালা সংশোধন করে। কিন্তু সেটেলমেন্ট কার্যক্রমে পদক্ষেপগুলো কার্যকর থাকবে কেবলমাত্র তিন বছর। তাই আমাদেরকে যদি ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়ির মালিকদের সুরক্ষা দিতে হয় তাহলে স্থায়ীভাবে একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে। আমি চেয়েছিলাম যেন ব্যাংকগুলো তাদের এই রাক্ষসী আচরণ বন্ধ করতে পারে। প্রতিটি বাড়ির মালিক ব্যাংকগুলোর আইন ভঙ্গ করলে ব্যক্তিগতভাবে যেন আইনের সহায়তা চাইতে পারে। এ বিষয়গুলো সমন্বয়ের জন্য আমরা আমাদের সহযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত পরিকল্পনাটির নাম দিয়েছিলাম ‘ক্যালিফোর্নিয়া হোম ওনার বিল অব রাইটস’। কিন্তু ব্যাংকগুলোর পাস করা সে সম্পর্কিত নতুন একটি আইন এক্ষেত্রে একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যাংকগুলোতে ভয়াবহভাবে প্রভাব ফেলেছিল সেক্রামেন্টোর ঘটনাপ্রবাহ। সবশেষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার আইন মন্ত্রণালয় একই রকমের দুটি আইন পাসের চেষ্টা করে। এটি হতে পারে পুরোপুরি কোর্টের যুদ্ধ।

প্রথমদিকে বিলটি যখন উঠছিল মানুষ তখন তা নিয়ে নীরব ছিল। এটি আসতে আসতেই মারা গেছে। তাদের ভাষ্য ছিল ব্যাংক কর্মকর্তাদের তদবির অনেকদূর পর্যন্ত। হিসাবনিকাশ যতদূর বলে আইন মন্ত্রণালয় খুব কমই ফোরক্লোজারের জন্য কাজ করবে।

আমি স্টেট অ্যাসেম্বলির স্পিকার জন প্যারেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। বিলটি আইনে পরিণত করার কৌশল নিয়ে কথা বলার জন্য।  জন ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী, যিনি একাধারে নীতি এবং রাজনীতির মানুষ। আমরা দুজন মিলে একটি চুক্তিতে উপনীত হই ‘হোম ওনার বিল অব রাইটস’ বিষয়ে এবং তিনি প্রস্তুত ছিলেন ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে জয়ী হতে বল প্রয়োগের বিষয়ে।  

এই কাজ করতে গিয়ে আমার একটি বিষয় মনে হয়েছিল, স্পিকার পেরেজ আমাকে  ডেমোক্রেট দলীয় পলিসি বিষয়ক এক আলোচনায় একটি স্টেট অ্যাসেম্বলিতে সেক্রামেন্টার লা ল্যান্ডের স্টানফোর্ড ম্যানসনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পেরেজ ছিলেন আমাদের দলের ইনচার্জ। তবে কৌশলগত কারণে শক্তিশালী মিত্র এবং আইন প্রণেতাদের উদ্বুব্ধ করতে আমাকে তাদের সঙ্গে টেবিলে বসিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা অনেকগুলো ডিনারে এই বিলটি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এক পর্যায়ে এসে আমি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে ভয়াবহ এমন সব তথ্য জানতে পারলাম যা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি। দলটির সঙ্গে আলোচনা করে মনে হচ্ছিল আমরা সাহায্য পাচ্ছি। ডিনার শেষ হলে আমি বুঝতে পারি তাদের মধ্যে দুয়েক জনকে আমি দলে টানতে পেরেছি। কখনই কোনো আইন প্রণেতা সরাসরি ব্যাংকের পক্ষ নেয়নি। কিন্তু প্রতিবারই তারা কোনো না কোনো অজুহাত দাঁড় করায় কেন তারা বিলটি সমর্থন করতে পারেনি। যদি তুমি এটি করতে কিংবা যদি এটি না হতো অথবা এখানে সেমি কোলনটি না থাকতো তাহলে বিলটিতে সমর্থন করতে পারতাম। আমি কখনই ভুলবো না একজন ডেমোক্রেট আইন প্রণেতা আমাকে বলেছিলেন কমালা আমি ফোরক্লোজারের মধ্যে খারাপ কিছু দেখতে পাই না। এটি তো আমাদের স্থানীয় অর্থনীতির জন্য লাভজনক। কারণ যখন একটি বাড়ি ফোরক্লোজ হয়ে যায় তখন এটি পরিত্যক্ত করা হয়। তাই যখন পুনরায় বাড়িটি ব্যবহার উপযোগী করতে হলে রংমিস্ত্রি এবং মালির দরকার হয়। ‘আসলেই কীভাবে সম্ভব? এই মানুষটিই কি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া সমর্থন করবে? তাহলে এটি তো দমকল কোম্পানিগুলোর জন্য লাভজনক।’ আমি অবাক হয়ে দেখেছিলাম কীভাবে ব্যাংকের কাছে তারা ব্যাংকের কার্যক্রমের পক্ষে সাফাই গায়।
কমালা হ্যারিসের অটোবায়োগ্রাফি
‘দ্য ট্রুথ উই হোল্ড’ বই থেকে
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর