বাংলারজমিন
মুকসুদপুরে ৪ খুনের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০২১-০১-১৭
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৃথক দুটি সংঘর্ষে ৪ খুনের বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইউনিয়ন বাসী। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার রাঘদী নামক স্থানে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে নিহতের স্বজনরাসহ এলাকার ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভ মিছিলটি মহাসড়কের রাঘদী ব্রিজ থেকে এক কিলোমিটার দূরে টেকেরহাট বন্দরে আসে। এখানেও তারা মানববন্ধন করে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন চলাকালে ডা. শামীম হাওলাদারের সভাপতিত্বে খুনিদের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবাদুল, জাহিদ, জাহাঙ্গীর, তুষার, নিহত কালাম শেখের স্ত্রী সোভা বেগম, কালাই ফকিরের স্ত্রী শেফালী বেগম, সাহিদ মোল্যার স্ত্রী শিল্পী বেগম প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত নভেম্বর ২৩-১১-২০২০ইং তারিখে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের শ্রীযুতপুর গ্রামে এলাকায় প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ উক্ত ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুলের সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুলের সমর্থক তিনজন নিহত হন।
নিহতরা হলো- রাঘদী গ্রামের মৃত জলিল শেখের ছেলে কালাম শেখ (২৫), দাসেরকান্দী গ্রামের মোসলেম ফকিরের ছেলে কালাই ফকির (৪৫), শ্রীযুতপুর গ্রামের করিম মোল্লার ছেলে সাহিদ মোল্লা (৪০)। এ ছাড়া গত ৩১শে মার্চ উক্ত দুই পক্ষের মধ্যে এক সংঘর্ষে সাজাহান শেখ নামে আরো একজন নিহত হন।
মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জন ও ৭৫ জন স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল হাজতে আছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।
নিহতরা হলো- রাঘদী গ্রামের মৃত জলিল শেখের ছেলে কালাম শেখ (২৫), দাসেরকান্দী গ্রামের মোসলেম ফকিরের ছেলে কালাই ফকির (৪৫), শ্রীযুতপুর গ্রামের করিম মোল্লার ছেলে সাহিদ মোল্লা (৪০)। এ ছাড়া গত ৩১শে মার্চ উক্ত দুই পক্ষের মধ্যে এক সংঘর্ষে সাজাহান শেখ নামে আরো একজন নিহত হন।
মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জন ও ৭৫ জন স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল হাজতে আছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।