× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম টিকা সাফাইকর্মীর /মোদি বললেন ভ্যাকসিন নতুন যুগের সূচনা করলো

প্রথম পাতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
১৭ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার

করোনা অতিমারিকে জয় করতে ভারতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলো শনিবার। কালান্তক কোভিড-এর বিরুদ্ধে যারা মরণপণ লড়াই করেছেন  সেই চিকিৎসক, সেবিকা, স্বাস্থ্যকর্মীদের এদিন ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে দেশের তিন হাজার ছয়শ’টি  ভ্যাকসিন দান কেন্দ্রে। মোট ছত্রিশ হাজার কোভিড যোদ্ধাকে এদিন ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর কোভিড যোদ্ধা ছিলেন তিন হাজার একশ’ ঊনত্রিশ। প্রথম যাকে টিকা দেয়া হয় তিনি দিল্লির এইমস-এর সাফাইকর্মী মনীষ কুমার। টিকা  নেয়ার পর ইতিহাসে জায়গা পেয়ে মনীষ বলেন,  আজ আমি গর্বিত।  গর্বের ঝিলিক ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদির কণ্ঠেও।  ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দান প্রকল্পের সূত্রপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত আজ নতুন যুগে পা রাখলো। প্রথম পর্যায়ে তিন কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে,  দ্বিতীয় পর্যাযে ভ্যাকসিন পাবে তিরিশ কোটি ভারতবাসী। মোদি বলেন,  ভারতবর্ষ বিশ্বমানবতায় বিশ্বাসী, তাই ভারতবাসী টিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশও এই টিকার সুযোগ পাবে।
মোদি তার ভাষণে স্পষ্ট না বললেও বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন,  ফার্স্ট নেবার হিসেবে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। মোদি এদিন অভিনন্দন জানান কোভিড  যোদ্ধাদের তাদের নিরলস পরিশ্রমের জন্যে।       
ভ্যাকসিন দান পর্বে গোটা ভারত সেজে উঠেছিল নতুন চেহারায়।  সমস্ত ভ্যাকসিন দান কেন্দ্রগুলোকে সাজানো হয়েছিল রঙে, আলোয়।  রাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানান,  একজনও গোটা ভারতে  এই ভ্যাকসিন নিয়ে অসুস্থ হননি। তাই অযথা ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব ছড়াবেন না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই ভ্যাকসিনকে সঞ্জীবনী আখ্যা দিয়ে বলেন,  প্রতীক্ষার অবসানে ভারত এবার শান্তির ঘুম ঘুমাবে।  প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে হর্ষবর্ধন বলেন,  অনেক দেশে ভ্যাকসিনের দাম পাঁচহাজার টাকা। ভারতে এই ভ্যাকসিন মিলবে সাধারণের আয়ত্তের দামে। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স করেন সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। গোটা ভারতের সঙ্গে বাংলাতেও ভ্যাকসিন দেয়া হয়। একুশ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন  নেন দুই লাখ একহাজার জন।  কলকাতায় উনিশশ’ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন  দেয়া হয় এক হাজার নয়শ’ জনকে.  উৎসবমুখর পরিবেশে ভ্যাকসিন দান চলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  রাজ্যকে কেন্দ্র কম ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। কিন্তু, তা নিয়ে যুদ্ধের সময় এটি নয়। কেউ গুজব ছড়াবেন  না। তবেই সফল হবে করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর