দুই ভারতীয়-আমেরিকান নারীকে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে। সামিরা ফাজিলি এবং আইশা শাহ নামের এই দুই নারীর জন্ম ভারতীয় কাশ্মীরে। সামিরা ফাজিলিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের উপপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলে অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া সমন্বয় করে জো বাইডেনকে মার্কিন অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন। অপরদিকে, হোয়াইট হাউসের অফিস অব ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজির পার্টনারশিপ ডিরেক্টর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আয়েশা শাহকে। তিনি ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি ডিরেক্টর রব ফ্লেহার্টির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের খবরে জানানো হয়েছে, ফাজিলির বাবা-মা চেয়েছিলেন তাদের মেয়েকে চিকিৎসক বানাবেন। তবে এখন বাইডেন প্রশাসনে জায়গা পাওয়া নিয়ে তার পরিবার উচ্ছসিত সময় পার করছে।
তার পরিবার জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে থাকে। তার চাচা রউফ ফাজিলি বলেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত। কাশ্মীরের সকল মানুষ গর্বিত। এটি আমাদের সকলের জন্যই গর্বের। কাশ্মীরের সংস্কৃতিতে সে বড় না হলেও কাশ্মীরের প্রতি তার টান রয়েছে বলে জানান তার চাচা। সর্বশেষ ২০০৭ সালে ফাজিলি ভারতে এসেছিলেন। সামিরা ফাজিলি তার জীবনে সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। তিনি গ্লাইডিং, সাতার ও টেনিসে অত্যন্ত পারদর্শী। একইসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোও তার অন্যতম প্রধান শখ।
গত ডিসেম্বরে ভারতের কাশ্মীরি বংশোদ্ভুত আরেক নারী আইশা শাহকে হোয়াইট হাউসের অফিস অব ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজির পার্টনারশিপ ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় বেড়ে উঠেছেন। এর আগে বাইডেন-হ্যারিস ক্যাম্পেইনে ডিজিটাল পার্টনারশিপ টিমের পরিচালক ছিলেন। তিনি বর্তমানে স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের অ্যাডভান্সমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।
Md. Hamidul Haque
১৮ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ১১:০৮ঈমান হারা মুসলিম। সামান্য বাইডেন প্রশাসনে চাকরি পেয়ে পরিবার সহ খুশি। টাকা-পয়সা, দুনিয়াদারী, সমাজে উচু অবস্থান এসবের জন্য লালায়িত হওয়ায় মুসলিমদের আজ এই দূরবস্থা। মুসলিমরা আজ তাদের আল্লাহ ও রসুল (সাঃ)কে ভুলে গেছে। রসুলের (সাঃ) জীবন যাপন ব্যবস্থা তাদের পছন্দ হচ্ছে না। দূনিয়ার প্রতি মোহ থাকার কারণের তারা আজ বিশ্বে নিন্দিত। সম্পদকে পায়ের নীচে রাখলে, সমাজে উচু মর্যাদাকে পায়ের নীচে রাখলে বরং তারা নন্দিত হতেন। এই ধরনের মুসলিম দিয়ে কাশ্মীর উপত্যকা পূর্ন। তাই সেখানে শান্তি আসবে কী করে? পূর্ণ ইসলামী আদর্শ উজ্জীবিত মাত্র ২০০ লোক থাকলে সেখানে শান্তি আসত। ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত চারটি পক্ষের চারটি থারকা খচিত সার্ট পরিধান করে ফিলিস্তিনে শান্তি আনতে পারেননি। বিজয় আল্লাহর কাছ থেকেই আসে । আর সেটা আসে না যখন মুসলিমরা আমুসলিমদের মত আচরণ করে থাকে। আমরা ভুলে গেছি যে, ইমাম আবু হানিফাকে বাগদাদের খলিফা হারুণ অর রশিদ প্রধান বিচারপতির পদ দিতে চেযেছিলেন। ইমাম রাজি হননি। এজন্য তাকে জেলখানায় পোড়া হয় । তাতেও রাজি হননি। সাইয়্যিদ মোসাইয়েবের মেয়েকে খলিফা আবদুল মালেক তার ছেলে ওয়ালিদের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেন। মোসাইয়ের রাজি হননি। তাকে জেলে বন্দি করে প্রতিদিন পিটানো হতো। তাতেও রাজি করা যায়নি। পরেে ঐ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন, এক দরিদ্র লোকের কাছে। যার প্রথম স্ত্রী মারা গিয়েছিল এবং দুটি সন্তান ছিল। এবাব বলুন শান্তি কোন দেশে কোন পরিবাবে থাকবে।