× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যাত্রীদের হাতছানি দিচ্ছে পদ্মা সেতু

বাংলারজমিন

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
১৮ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার

প্রমত্তা পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মা সেতু। নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীদের যেন হাতছানি দিচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রাজধানী ঢাকায় যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া এখন আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে যাত্রীদের কাছে। নৌরুট দিয়ে লঞ্চ, স্পিডবোট আর ফেরিতে পার হওয়া যাত্রীরা মুগ্ধ চোখে দেখছে পুরো সেতুর অবকাঠামো। পদ্মা সেতু দেখতে পাওয়া এক বিস্ময় হয়ে ধরা দিচ্ছে যাত্রীদের চোখে। স্বপ্নের সেতুর ওপর দিয়ে পদ্মা পার হবেন এমন প্রত্যাশায় দিন গুনছেন নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
সরজমিনে দেখা গেছে, শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে লঞ্চে ছাড়ার পর চোখের সামনে শুধুই পদ্মা সেতুর অবকাঠামো! নদীর পাড়ে নদীশাসন বাঁধ। এ সময় লঞ্চের জানালা দিয়ে যাত্রীদের উঁকি-ঝুঁঁকি আর অনেকে ডেকে দাঁড়িয়ে দেখছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
লঞ্চটি স্বপ্নের সেতুর ঠিক নিচে দিয়ে যাওয়ার সময় অনেক যাত্রীই মুখ দিয়ে আনন্দধ্বনি করে থাকেন। বিস্ময় ও প্রশান্তি নিয়ে পদ্মাসেতুর দিকে তাকিয়ে থাকেন যাত্রীরা।
সেতু পেরিয়ে লঞ্চ মূল নদীতে পৌঁছাতেই পেছন ফিরে সেতুর পুরো কাঠামো অবলোকন আর ছবি ধারণ করে রাখতে দেখা যায় যাত্রীদের। লঞ্চটি ঘাটে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত চলে পদ্মা সেতু নিয়ে নানান আলোচনা। আর শিগগিরই সেতুর ওপর দিয়ে পদ্মা পার হওয়ার প্রত্যাশা।
লঞ্চযাত্রী স্কুলশিক্ষক মিয়াউল আলম চৌধুরী দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, পদ্মা সেতুর গুরুত্ব আমাদের কাছে অত্যধিক। কারণ ঢাকা যেতে আমাদের এই প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দিতে হয়। সেতু চালু হলে শিবচরের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ হবে চোখের পলক পড়ার মতো! আমরা স্বাচ্ছন্দে দিনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে পারবো। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও পদ্মা পাড়ি দেয়ার উৎকণ্ঠা থাকবে না। এ জন্য পদ্মা সেতু আমাদের কাছে এক আবেগের জায়গা।
বরিশাল থেকে আসা এক কলেজছাত্র ফাহিম দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, পদ্মা সেতু যোগাযোগ মাধ্যমে এক দিগন্ত উন্মোচন করবেÑ এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের কাছে পদ্মা সেতু যেন বিস্ময়। পদ্মার বুকে সরীসৃপের মতো সেতুর কাঠামো দেখলে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব হয়। মনে হয় যেন আমার সেতু! লঞ্চে বা ফেরিতে পার হলে পুরো সেতু সময় নিয়ে দেখার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ।
গিয়াসউদ্দীন মীর নামে আরেক লঞ্চযাত্রী দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। সব মিথ্যা করে দিয়ে পদ্মা সেতু পদ্মার বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থে গড়া এই সেতুর প্রতি মানুষের আবেগ একটু আলাদা। বিশেষ করে সেতু সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হিসেবে সেতু নিয়ে মনের ভেতর ভিন্নরকম ভালো লাগা কাজ করে।
প্রমত্তা পদ্মায় টলমলে স্নিগ্ধ জল এখন। বর্ষা মৌসুমে এই কোমল চেহারাই রূপ নেয় রুদ্রতায়। চোখ রাঙানি আর //ফস ফস// শব্দে বুকে কাঁপন ধরায় নৌরুটের যাত্রীদের। পদ্মা সেতু চালু হলে ঝুঁকি নিয়ে নৌপথ পাড়ি দিতে হবে না এমন ভাবনা যাত্রীদের। তাছাড়া সময় কম লাগবে ঢাকা যেতে-আসতে। এই প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত পদ্মা সেতু যেন হাতছানি দিয়ে ডাকবে নৌরুটের যাত্রীদের। পদ্মা সেতুর হাতছানি যাত্রীদের পদ্মা পার হওয়ার দীর্ঘ সময়ের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে মুহূর্তেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর