চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অনুষ্ঠেয় ১৯শে জানুয়ারির ভার্চ্যুয়াল বৈঠককে সামনে রেখে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বর্ষার আগেই প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। সে মতেই ঢাকা প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে মিয়ানমারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরে। সচিব বলেন, চীনসহ অন্য দেশগুলোকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আরও সম্পৃক্ত অবস্থায় দেখতে চায় বাংলাদেশ। রোববার পররাষ্ট্র দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এসব কথা জানান। সচিব বলেন, ‘চীন এখানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রয়েছে এবং তাদের একটি বড় উপস্থিতি আমরা আশা করবো। তবে এটি ঠিক যে, শুধু চীনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে সেটি নয়। আমরা চাইবো, আসিয়ানের আহা সেন্টার এবং ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যদি যুক্ত হয়, তবে রোহিঙ্গারা আতœবিশ্বাস ফেরত পাবে।
পুরো প্রক্রিয়াটির সঙ্গে চীন জড়িত জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যতদূর জানি তারা কিছু লজিস্টিকের কাজ করছে। এছাড়া জাপান ও ভারতও কিছু করেছে। প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চীন সর্বোচ্চ লেভেলে প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছে, সেটি একটি নতুন বিষয়। সুতরাং, আমরা যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা আশা করছি, সেটি এবার ভালো অবস্থায় আছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই- এর সম্প্রতি মিয়ানমার সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময়ে রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং যাতে করে মিয়ানমারের সহযোগিতা পাওয়া যায়, সেটি নিশ্চিত করার বিষয়ও সেখানে নিশ্চয় ছিল। এটা আমার ধারণা। কারণ, চীনেরও একটি ফলাফল দেখানোর দরকার আছে। আমরা যেমন বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা নিয়ে বসে আছি, তেমনই চীন গত দুই বছর ধরে ত্রিপক্ষীয়ভাবে এখানে যুক্ত আছে। সুতরাং, যদি প্রত্যাবাসন শুরু না হয়, তবে চীনের ভাবমূর্তির বিষয়টি সামনে চলে আসবে। এক বা দুই হাজার রোহিঙ্গা যাওয়ার পরে প্রত্যাবাসন বন্ধ হয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঝুঁকি সবসময়ে আছে। কিন্তু শুরুটা এ রকমের হবে। একদিনে এক লাখ পাঠানো যাবে না। একটি গ্রামে কত জন লোক থাকে, এক বা দুই হাজার। আমরা গ্রামভিত্তিক রোহিঙ্গা দিয়ে শুরু করবো। কিন্তু শুরু হওয়া দরকার। বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যত শিগগির সম্ভব প্রত্যাবাসন। এ ব্যাপারে চীন আমাদের সহযোগিতা করছে। তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই বৈঠক হচ্ছে বলে তিনি জানান।
nandadulal
১৮ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ১:২০Where are cheap Hindustani malus? Why did we even bother to ask these selfish and self entered free lunching pikers’ help in the first place on the Rohingya issue?