ভ্যাকসিনও বাদ গেলোনা বাংলার রাজনৈতিক তরজা থেকে। খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছেন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন ভায়াল না পাঠিয়ে। নগর ও পুর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, এই ভ্যাকসিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি নয়। দেশের মানুষের অধিকার আছে এই ভ্যাকসিনে। কম ভ্যাকসিন পাঠিয়ে বাংলাকে ব্রাত্য করা হয়েছে। বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গিয় পাল্টা বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস কোভিড যোদ্ধদের বঞ্চিত করে ভ্যাকসিন চুরি করে নেতাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে, ওদের মুখে এই কথা মানায় না। বস্তুত, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্র নাথ চট্টোপাধ্যায়, ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল এবং ব্যারাকপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম দাস ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রথম দিন লাইনের গোড়ায় দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন নেন। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এর মধ্যে কোনও অন্যায় দেখছেন না।
বলেছেন, ভ্যাকসিন চুরির কোনও প্রশ্ন ওঠেনা। বিধায়ক, নেতারা কোভিড যোদ্ধা। তাঁরা কোভিড এর সময়ে এবং এখনও করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন। তাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ায় কোনও অন্যায় হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, সাংসদরা কেউই ভ্যাকসিন না নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোভিড এর বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধদাদের প্রথম এই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা। তার বাইরে কারোরই এই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা নয়। কেউ নিয়ে থাকলে তা কোভিড যোদ্ধাদের বঞ্চিত করে নেওয়া হয়েছে।