× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরকারি মালামাল ক্রয়ে অনিয়মের কড়া সমালোচনা করলেন মন্ত্রী

অনলাইন

অর্থনেতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ১৮, ২০২১, সোমবার, ৪:১৫ অপরাহ্ন

সরকারি কাজে জনগণের টাকা বাঁচাতে হবে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, টাকা আমাকে বাঁচাতে হবে। কারণ পরের টাকা তো এটা; জনগণের টাকা।

তিনি বলেন, যে লোক টাকা দিচ্ছে, সে নিজে কিন্তু খরচ করতে পারছে না। তার ঘরে গিয়ে দেখেন, আমার মতো বসার কোনো চেয়ার-টেবিল নেই। তারা মেঝেতে বসে কাজ করছে। অথচ তারা দেশের মালিক।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান (বিবিএস) ভবনে আয়োজিত জনশুমারির জোনাল অপারেশন (প্রথম) প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, আজকের বাজার আজকেই করবো। তবে অনেক গৃহিণী টাকা বাঁচানোর জন্য এক মাসের বাজার করে রাখেন। সেটা আগাম। তবে কোনো গৃহিণী যদি দুই বছর আগের মালপত্র আজ কেনেন, তাহলে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে।
পেঁয়াজ, আলু থাকবে না। কোনটা দুই বছর রাখা যায়, গৃহিণী ভালো বোঝে। সময় মতো কেনাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। আগেও কিনবো না, পরেও কিনবো না। ব্যবহার করে কাজে লাগিয়ে দিতে হবে।

আদম বা জনশুমারির তথ্য আমাদের মনকে খুলে দেয়। এ অর্থ আমরা খরচ করতে পারি। কিন্তু এ কথা আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, আমরাও বলি, আমাদের অর্থ সাবধানে ব্যয় করতে হবে, যোগ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, না খেয়ে টাকা বাঁচাতে বলবো না। দুপুরে যদি ভাত না খাই, টাকা বাঁচবে আমার, কিন্তু এটা প্রোপার সেভিংস নয়। বিকেল ৫টার দিকে দেখা যাবে, আমি কাজ করতে পারি না। খেতেও হবে, তবে হিসাবও করতে হবে।

‘এখানে কিছু কিছু ব্যয় আছে, যা করার আগে আমাদের সাবধান হতে হবে। যেমন একটা আইটেম হলো প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন। দেখি মাঝে মধ্যে আমার কাছে আট বা ১০ প্রকল্পের আগের প্রকল্পের সময় কেনা খাতা আমার কাছে হাজির হয়ে গেছে রাফ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় অনেক জায়গায় যাই, পেন্সিল বা কলম চেষ্টা করেও লিখছে না। এগুলো আমরা সবাই বুঝি। সাপ্লাইয়ের মাল যারা দেন, তারাও তো দু-পয়সা বাঁচাতে চায়। তার কাছে এটা ন্যায় সঙ্গত। আমাদের যত্নবান হতে হবে। মাছের কান দেখে মাছ কিনি, লাল নাকি সাদা। আপনারা প্রকিউরমেন্টে যারা থাকবেন, প্লিজ ভেরি কেয়ারফুল। বিশেষ করে স্টেশনারির মধ্যে টাকা বাঁচানোর স্কোপ আছে বলে আমার মনে হয়।

এখানে কিছু কিছু প্রকিউরমেন্ট হয়েছে অতীতে তিন বছর আগে। সেগুলোর বর্তমান অবস্থা, সচিবকে অনুরোধ করেছি, পরখ করে দেখবেন, সেগুলো ব্যবহার করা যায় কি না। কারণ যন্ত্রপাতির একটা বয়স আছে, যোগ করেন মন্ত্রী।

এম এ মান্নান বলেন, এবার হলো ২০২১ সাল, অথচ মাল কেনা হয়ে গেছে ২০১৯ সালে। প্রকল্পটা পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং এখানে স্টোর করা আছে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য। সেগুলো খুবই স্পর্শকাতর। সচিব, মহাপরিচালক, পিডিকে বলব, দেখবেন কাজে লাগবে কি না। এ রকম আরও জিনিস হয়তো আছে। বলপেন তো কিছুদিন পর কালি জমে যায়। বের হয় না। সুতরাং বলপেন কখন কিনবো, সেটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর