× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভোটের প্রয়োজন নেই পরশুরাম পৌরসভায়

বাংলারজমিন

ফেনী প্রতিনিধি
১৯ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

ফেনীর পরশুরাম পৌরসভায় মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে মেয়র ও কাউন্সিলের সকল পদে একক প্রার্থী থাকায় এ পৌরসভায় ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। গত রোববার মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিন পর্যন্ত পরশুরাম পৌরসভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মেয়র পদে একজন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৯ জন ও তিনটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানিয়েছেন। বিগত ২০১৫ সালের পরশুরাম পৌরসভা নির্বাচনেও একক প্রার্থী থাকায় কোনো পদে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। সকল পদে সরকারদলীয় ও সমর্থিত প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, পরশুরাম পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে আবদুল মান্নান, ২নং ওয়ার্ডে খোরশেদ আলম, ৩নং ওয়ার্ডে আবু তাহের, ৪নং ওয়ার্ডে আবদুল মান্নান, ৫নং ওয়ার্ডে এনামুল হক, ৬নং ওয়ার্ডে কামাল উদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ডে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, ৮নং ওয়ার্ডে রসুল আহম্মদ মজুমদার ও ৯নং ওয়ার্ডে আবু শাহাদাৎ চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে (১,২,৩) আফরোজা আক্তার, ২নং ওয়ার্ডে (৪,৫,৬) রাহেলা আক্তার ও ৩নং ওয়ার্ডে (৭,৮,৯) হালিমা আক্তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পরশুরাম পৌরসভা নির্বাচনে কেন বিএনপি’র কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে পরশুরাম উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবদুল হামিদ মানিক জানান, ‘আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি।
এজন্য আজ আমরা সংবাদ সম্মেলনও করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী ও তাদের কর্মী বাহিনী বিএনপি’র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ না নিতে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। আমাদের প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি হামলা করেছে, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবদুল হামিদ মানিক আরো জানান, ‘বিএনপি কেন্দ্র থেকে পরশুরাম পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক কাজি ইউসুফ মাহবুবকে দলীয় মনোনয়ন দিলেও সরকারদলীয় নেতাদের বাড়িতে যেয়ে হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা না দিতে পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছে। নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আমরা সহসাই নির্বাচন অফিসে লিখিত অভিযোগ করবো’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী জানান, ‘তিনি, তার দলের কোনো নেতাকর্মী বিএনপি’র কোনো প্রার্থীর বাড়িতে হামলা বা প্রার্থীর স্বজনদের হুমকি-ধমকি দেয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘পরশুরাম উপজেলা নির্বাচনী কার্যালয়ের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমাদানের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া এখন তো অনলাইনেও মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যায়। তারা তো কোথাও মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী আরো জানান, ‘বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী মাহফুজ দলীয় মনোনয়ন পেয়ে থাকলেও তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি, কারণ তিনি ঋণখেলাপি। তিনি একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এসব কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হবে জেনে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো দোষ নেই।’
 জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, গত ‘রোববার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দিচ্ছে কোনো দল কিংবা কেউ প্রভাব বিস্তার করছে এমন কোনো লিখিত অভিযোগ কেউ করেনি।’  তিনি আরো জানান, আজ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। বাছাইয়ে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল না হলে সকল পদের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পরশুরাম পৌরসভা নির্বাচনেও একক প্রার্থী থাকায় কোনো পদে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। সকল পদে সরকারদলীয় প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। এবারসহ টানা তৃতীয়বার মেয়র পদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছে বর্তমান মেয়র নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর