মঙ্গলে উষা, বুধে পা... এই প্রবাদ বাক্যটি মনে রেখে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড দেশের বাইরে পা রাখছে। বুধবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে যাচ্ছে ভারত সরকারের বাংলাদেশের জনগণকে উপহার ২০ লাখ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার যে অঙ্গীকার করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তা পূর্ণ হবে এই উপহারের ডালির মাধ্যমে। সেই সঙ্গে রক্ষিত হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া মোদির কথা। কোনো কোনো মহলে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল ভারত আদৌ ভ্যাকসিন দেবে কিনা বাংলাদেশকে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানের কোল্ড চেম্বারে ২০ লাখ করোনা জয়ের সঞ্জীবনী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বুধবার। পুনেতে সিরাম ইনস্টিটিউটে সেই কারণে ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। ভ্যাকসিনের কার্টুনগুলির নাম্বারিং এর কাজ সারা। বিনামূল্যে ভারত সরকার এই ভ্যাকসিন দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
সিরাম সিইও আদর পুনেওয়ালা বলেছেন, বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাঠাতে পেরে আমরা গর্বিত। সিরামের পক্ষ থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল ডাঃ আবুল মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সঙ্গে। গত নভেম্বরে বাংলাদেশের বৃহত্তম ওষুধ নির্মাতা বেক্সিমকো ফার্মা, সিরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয় সেই অনুযায়ী বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে কোভিশিল্ড যাবে ২৫ জানুয়ারি। বাংলাদেশ সরকার ৩০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড কিনবে সিরামের কাছ থেকে। বেক্সিমকোর দায়িত্ব থাকবে সারা বাংলাদেশে তা বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ ও বিপণনের। সিরামের কোভিশিল্ড এর দাম বাংলাদেশে হতে পারে চার ডলার।