প্রায়ই বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। কিন্তু ডেইলি মেইলে প্রকাশিত তেরেসা মে’র সাম্প্রতিক এক আর্টিকেলকে সবচেয়ে কড়া সমালোচনা মনে করছেন অনেকে। গত দেড় বছরে হাউজ অব কমন্সে ব্রেক্সিট ইস্যুতে উত্তর আয়ারল্যান্ড, গুড ফ্রাইডে চুক্তি নিয়ে একাধিক বার একে অন্যের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন তারা দু’জন। তবে এবার তেরেসা মে দাবি করেছেন জনসন বৃটেনের বৈশ্বিক নেতৃত্বের নৈতিকতা হারিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
ব্রেক্সিট চুক্তির সময়ে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙ্গার হুমকি দিয়ে জনসন পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে বৃটেনের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেন তেরেসা মে। সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা বাজেটে শতকরা ২ ভাগের বেশি খরচ করা, এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা চুক্তিমতো শতকরা ০.৭ ভাগ অনুদান না দেয়ায় বৃটেনের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে বলে মনে করেন সাবেক এই বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী।
বৃটিশ মূল্যবোধের আলোকে জনসন যেন বৃটেনকে ‘গ্লোবাল বৃটেন’ বানানোর লক্ষ্যে কাজ করেন- এই আহ্বান জানান তেরেসা মে।
তিনি বলেন, জনসন কূটনীতিতে চরমপন্থা অবলম্বন করছেন। এছাড়া জনসনের শাসনে সমঝোতাকে দুর্বলতা ভাবা হয় বলে মনে করেন তিনি।
ওয়াশিংটনে ৬ই জানুয়ারির হামলার সমালোচনা করে এর জন্যে ট্রাম্পকে দায়ী করেন তেরেসা মে। তিনি এই হামলাকে ওয়েস্টমিনস্টারে ২০১৭ সালে হওয়া হামলার সঙ্গে তুলনা করেন। ওয়েস্টমিনস্টারের ওই হামলায় কিথ পালমার নামের একজন মারা যান।
তেরেসা মে তার ওই আর্টিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেন। নমনীয় বাইডেনের জয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন। তেরেসা মে মনে করেন, বাইডেনের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য কাজ করার একটা সুযোগ এসেছে বৃটেনের হাতে। কোনো নেতার পক্ষে অন্যের সঙ্গে না লড়ে, সবাই যেন মানুষের মঙ্গলের জন্যে কাজ করে, তেরেসা মে এই মূল্যবোধের পক্ষে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।