প্রেসিডেন্সির শেষ কয়েক ঘন্টায় সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননসহ ৭৩ জনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে স্টিভ ব্যানন প্রতারণার অভিযোগের মুখোমুখি ছিলেন। আজ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১) শপথ নেয়ার কথা রয়েছে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, সেই সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব হিসাব করলে এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে সময় মাত্র কয়েক ঘন্টা। মঙ্গলবার তিনি ৭৩ জনকে ক্ষমা বা দায়মুক্তি দিলেও আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আরো কিছু মানুষকে দায়মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। মঙ্গলবার নিজে বা পরিবারের কোনো সদস্যকে দায়মুক্তির মধ্যে রাখেননি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
মঙ্গলবার ট্রাম্প যাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। তার মধ্যে স্টিভ ব্যানন ট্রাম্পের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলী এবং উপদেষ্টা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের তহবিল সংগ্রহকে কেন্দ্র করে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছর আগস্টে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। প্রসিকিউটররা বলেছেন, স্টিভ ব্যানন এবং অন্য তিনজন মিলে সংগ্রহীত তহবিলের হাজার হাজার ডলার সরিয়ে নিয়েছেন। ‘উই বিল্ড দ্য ওয়াল’ শীর্ষক তাদের তহবিল সংগ্রহ সংক্রান্ত প্রচারণায় সংগৃহীত হয়েছিল ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অভিযোগ আছে, এই অর্থ থেকে কমপক্ষে ১০ লাখ ডলার নিয়েছেন স্টিভ ব্যানন। এ অর্থের বেশির ভাগই তিনি ব্যক্তিগতখাতে খরচ করেছেন। কিন্তু হোয়াইট হাউজ তার বিবৃতিতে বলেছে, রক্ষণশীল আন্দোলন এবং রাজনৈতিক অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
এ ছাড়া যারা ক্ষমা পেয়েছেন তার মধ্যে রয়েছেন ডয়েনে কার্টার। তিনি লিল ওয়েনে নামে পরিচিত। গত বছর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র বিষয়ক ফেডারেল চার্জ গঠন করা হয়। তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। মুক্ত পেয়েছেন কোদাক ব্লাক। তার আসল নাম বিল কে কাপ্রি। তার বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্রের অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। তার তিন বছর ১০ মাসের সাজা শিথিল করা হয়েছে। তার ‘জনহিতৈষী কাজের’ প্রশংসা করে বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। ক্ষমা পেয়েছেন খামি কিলপ্যাট্রিক। দুর্বৃত্ত চক্র গড়ে তোলা, ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০১৩ সালে তাকে ২৮ বছরের জেল দেয়া হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়, তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ডেট্রয়েটের মেয়ার থাকার সময় ওইসব দুর্নীতি করেন। তার শাস্তিও লঘু করা হয়েছে।