× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিয়ের পরদিনই লাশ হলো তন্বী

অনলাইন

বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২০, ২০২১, বুধবার, ৫:০৩ অপরাহ্ন

প্রেম করে বিয়ে করার পরদিনই বধূ হয়ে স্বামীর বাড়িতে এসে লাশ হয়ে ফিরলো তন্বী নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে গড়ালেও বিয়ের পরের দিনই অজানা কারণে স্বামীর বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্থানীয় জোবেদা রুবেয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল রুবাইয়াত তন্বী (২১)। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী সাইমের বাড়িতে নিজের শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। তন্বী টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার জরাশাহীবাগ এলাকার অগ্রনী ব্যাংকের সাবেক ব্যাবস্থাপক হাশেম খানশুর এবং বাসাইল সদর ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার বিউটি আক্তারের ছোট মেয়ে। তন্বীর স্বামী পৌরএলাকার পশ্চিমপাড়ার মৃত গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সাদেক আহমেদ সাইম (৩৪)। তন্বীর মৃত্যুর বিষয় নিয়ে উভয় পরিবার পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।

জানা যায়,পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা হিসেবে সাইম এবং তন্বীর পরিবারের মধ্যে ভাল জানাশোনা রয়েছে। পারিবারিক সুসম্পর্ক এবং পরিচয়ের সুবাদে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের বিষয়টি তন্বীর পরিবার জানার পর ভালভাবে গ্রহণ করেনি।
বিভিন্ন জায়গা থেকে তন্বী এবং সায়েমের বিয়ের প্রস্তাব আসলেও উভয়ের কেউই বিয়ে করেনি। মঙ্গলবার দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। পরদিন শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। এ ব্যাপারে তন্বীর দেবর শাকিল খান জানান, ভাই-ভাবী উভয়েই বিয়ের বয়সের জন্য উপযুক্ত। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে ভাবীর (তন্বী) পরিবার বিয়ের কাবিনসহ অনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেও মেয়ের প্রতি তারা নাখোশ ছিলেন। আজ (বুধবার) সকালে যখন ভাবী আমাকে এবং আমার ভাই সায়েমকে বাজার করতে পাঠান তখন তাকে খুব ভীষণ্ন লাগছিলো। ধারণা করা হচ্ছে- সকালে তার বাবা মা’র সাথে মোবাইলে ঝগড়া করার করে রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছেন।
 
তন্বীর বাবা হাশেম খানশুর বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছি। বিয়ের মাত্র একরাতের মাথায় মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক এবং এটা স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনায় আমার মেয়েকে প্ররোচিত করা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে মামলার বিষয়ে এগিয়ে যাবো।

এ ব্যাপারে বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বাসাইল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর