× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে শ্রম আইন ও অধিকার বিষয়ে অব্যাহত সংস্কার জরুরি

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২০, ২০২১, বুধবার, ৭:০৪ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হতে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে। তবে এ উত্তরণ ধারাবাহিক রাখতে শ্রম আইন ও অধিকার বিষয়ে চ্যালেঞ্জগুলোর সংস্কার অব্যাহত রাখা জরুরি বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডি আয়োজিত “বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর ইবিএ এবং জিএসপি+-এর সম্ভাবনা: শ্রম আইন ও অধিকার সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা” শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে এই সংস্কারে কথা উঠে আসে। কর্মক্ষেত্রে হয়রানি সম্পর্কিত বিষয়গুলো কে আইনি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা; বাধ্যতামূলক শ্রম ইস্যু সঠিকভাবে মোকাবিলা; আইএলও বিশেষজ্ঞ কমিটির উদ্বেগের দিকে দৃষ্টি দেয়া এবং সার্বিক তদারকি ও বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়ার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয় সংলাপে। সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, মসৃণ এই উত্তরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শ্রমমান পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন, কাঠামোগত দূর্বলতা এবং প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। অন্যদিকে এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ রপ্তানির ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা (preferential market access) পায়, তা সংকুচিত হবে। বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি+ সুবিধার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত হতে পারলে উত্তরণ-পরবর্তীকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্ক দেয়া থেকে সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
এই সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে সাতাশটি মানবাধিকার ও শ্রমমান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক রীতি মেনে চলতে হবে। যার মধ্যে ১৫টি আইএলওর শ্রমমানের সাথে সম্পর্কিত। গত প্রায় আট বছর সময় ধরে শোভন কাজ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরোও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। সংলাপে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিএসপি+ সুবিধা পেতে প্রাসঙ্গিক মানদণ্ডগুলোর পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইনগত ত্রুটিগুলো পর্যালোচনা এবং শ্রমের মান সম্পর্কিত জিএসপি+ এর সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ বিষয়ে যৌথভাবে সিপিডি ও নেটওয়ার্কস ম্যাটার এই গবেষণা পরিচালনা করেছে। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনায় সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা একটি বাণিজ্য কাঠামো প্রদান করে, যা পেতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং সরকারকে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের সুরক্ষা এবং প্রচারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে হয়। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর জিএসপি+ সুবিধা পেতে শ্রম আইন নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে শিশু শ্রম, ট্রেড ইউনিয়ন আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিসহ শ্রম আইন ও অধিকারের সংস্কারের উন্নতির সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর