ঢাকার ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনায় পিস্তল বের করে স্ত্রীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর সময় গ্রাম পুলিশের হাতে আটক হন বাবর আলী নামের এক ব্যক্তি। তাকে সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে আনার পর উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আহত স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সুয়াপুর ইউনিয়নের কুটিরচর গ্রামে। আটক বাবর আলী কুটিরচর গ্রামের মৃত সামসুল হকের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, বাবর আলী ও তার শ্যালক মনির হোসেন মিলে একটি যাত্রীবাহী বাস কেনেন কিছুদিন আগে। ওই বাসটি ঢাকার গাবতলী থেকে সুয়াপুর রুটে চলাচল করে। বাবর আলী বাসটি গাবতলী থেকে সাটুরিয়া রুটে চলাচলের জন্য প্রস্তাব দেয় তার শ্যালক মনির হোসেনের কাছে।
এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে বাবর আলী তার স্ত্রী রৌশনারাকে রাতের বেলায় মারধর করে। একপর্যায়ে পিস্তল বের করে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে বাবর আলী। এতে আহত হয় রৌশনারা। এ সময় খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ পিস্তলসহ তাকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে পরিষদে নিয়ে আসেন। সেখানে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, পিস্তলসহ বাবর আলীকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।