বহু গুণের অধিকারী আরমান পারভেজ মুরাদ নব্বই দশক থেকেই অভিনয়ের সাথে জড়িত। মাঝে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও বর্তমানে কাজ করছেন নিয়মিত। বেশ কিছু নাটক-সিনেমা হাতে রয়েছে তার। 'অপারেশন সুন্দরবন' ও 'শান' সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া 'সুজুকি' নামের আরেকটি সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘স্মৃতির আল্পনা আঁকি’ নামের একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করছেন। নাটকটি এটিএন বাংলায় প্রচার হচ্ছে। সম্প্রতি বিখ্যাত ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে নির্মিতব্য মেগা ধারাবাহিক নাটক ‘কাজল রেখা’র কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে মুরাদ বলেন, সব সময়ই নির্মাতারা আমাকে একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেয়। কারণ কাজের সময় আমি খুব সিরিয়াস। ‘কাজল রেখা’ আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের নাম। বিভিন্ন ধরনের চরিত্র করে দর্শকদের দেখানোটাই একজন অভিনেতার দায়িত্ব।নতুন এই চরিত্রটিও সততার সঙ্গে করার চেষ্টা করছি। ক্যারিয়ারে আপনি কখনই নিয়মিতভাবে অভিনয় ছিলেন না। বিশেষ কোনো কারণ আছে কী? মুরাদ বলেন, নিয়মিত কাজ করার মতো পরিবেশ আমাদের এখানে নেই। এখানে অনেক ধরনের বাঁধা। সিন্ডিকেট, লবিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হয়। যোগ্যদের সুযোগের অভাব রয়েছে। এসব কারণেই নিয়মিত কাজ করা সম্ভব হয়নি। মুরাদ আরও বলেন, ভালো চরিত্র পেলে কখনও হাতছাড়া করি না। মানসম্মত কাজে আনন্দ আছে। অভিনয়ের পাপাশি আবৃত্তিও করে থাকেন মুরাদ। কিছুদিন আগে 'গোলাপের শব্দ' নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। রাজশাহীর বোস পাড়ার ছেলে আরমান পারভেজ মুরাদের অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘে তিনি টানা ৯ বছর কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে থিয়েটার আরামবাগে যুক্ত হন। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন ‘ঘানি’, ‘খেলাঘর’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, ‘রাবেয়া’, ‘বেদেনী’র মতো সিনেমাতে। ‘ঘানি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ২০০৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মুরাদ। ১৯৯৭ সালে ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘নিশিথে নোঙ্গর’ নাটকের মাধ্যমে তার ছোটপর্দায় অভিষেক ঘটে। এরপর একে একে অনেক একক ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন।