দেশ চালানোর জন্য আপনারা এতো চিন্তা না করে বরং বলুন হুজুরগণ এতো বলাৎকার, ধর্ষণে জড়িত কেন? মাদ্রাসা শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলেম, উলামা উনারা সাধারণ মানুষের কাছে নৈতিকতার আদর্শ। সেই আদর্শবান পুরুষদের আজ এতো অধপতন কেন? আজ সারাদেশে এতো ধর্ষণ জাতীয় অপরাধের অন্যতম কারণ আমাদের নৈতিক শিক্ষকদের চরম অধপতন। এই বিষয়ে জোড়ালো কিছু বলেন।
দেশে শান্তি শৃঙ্খলা একমাএ কোনআন হাদিসের মাধ্যমেই আসবে। দেশকে রক্ষা করাবার জন্য, জাতিকে রক্ষা করবার জন্য, ইসলামকে রক্ষা করবার জন্য, মানবতাকে রক্ষা করবার জন্য, আল্লামা বাবুনগরীর হাতকে শক্তিশালি করবার জন্য তৈরি আছি ইনশাআল্লাহ। (আল্লামা মামুনুল হক সাহেব)
বাংলাদেশের অনেকে আলেম,মোল্লারা দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েমের দাবী করেন। বর্তমান সরকার যদি আজকেই দেশে ইসলামী আইন জারি করেন, এসব মোল্লারা সকলের আগেই দেশ ছেড়ে পালাবেন। কেননা, তখন এসব আলেমরা দেশে ইসলামের নামে নানা তাল তামাশা আর করতে পারবেনা। মুখে শরিয়তের লাগাম লেগে যাবে।
kazi সাহেবকে বলি,ক্বুরআনুল কারীমের বিধান চালু নাই বিধায় এই অবস্থা। ক্বুরআনুল কারীমের বিধান মানে শুধু বিধান প্রনয়ন নয় বরং তার বাস্তবায়ন। ক্বুরআনুল কারীমের বিধান মানে কোন আলেম,উলামা,মুফতীর হাতে ক্ষমতা নয় বরং আল্লাহ'র কতৃত্ব সর্বত্র বাস্তবায়ন করা। অর্থাৎ যা লেখা ক্বুরআনেে তাই চলবে বাস্তব জীবনে। ভাইকে ক্বুরআন,হাদীস,রসুলের জীবনী ও ইসলামের ইতিহাস অধ্যায়নের অনুরোধ করছি। কারণ প্রত্যেকটি কথার জন্য আল্লাহর কাছে আমাদেরকে জিজ্ঞেসিত হতে হবে।
যুগে যুগে পথভ্রষ্ট মানব জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা নবী রাসূল পাঠিয়েছেন এবং তাঁদের সাথে ওহি নাজিল করে আসমানী কিতাবও পাঠিয়েছেন। আসমানী কিতাবের সর্বশেষ সংস্করণ কুরআন মজিদ এখনো অবিকৃত অবস্থায় আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত এটি অবিকৃত অবস্থায় থাকবে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যতো প্রকার কাজকর্ম করা লাগে সেসব কাজের পদ্ধতি ও নিয়মকানুন আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদে বর্ণনা করেছেন এবং নবী রাসূলদের মাধ্যমে মানব জাতিকে বলে দিয়েছেন আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী সকল প্রকার কাজের বিচার ফায়সালা করার জন্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "এই কুরআন হচ্ছে মানুষের জন্য সুস্পষ্ট দলীল। তা হচ্ছে ঈমানদারদের জন্য জ্ঞানের কথা, পথ নির্দেশ ও অনুগ্রহ।" সূরা আল জাসিয়াঃ২০। মানব জাতির জীবন বিধান হিসেবে আল্লাহর নাজিল করা কুরআন মজিদ পরিপূর্ণ করে দেয়া হয়েছে। মানুষের বড়ো-ছোট সকল সমস্যার সমাধান এতে রয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, "আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিলাম। আর তোমাদের উপর আমার নেয়ামতও পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের জীবন বিধান হিসেবে আমি ইসলামকেই মনোনীত করে দিলাম।" সূরা আল মায়েদাঃ৩। যারা আল্লাহ তায়ালার এই বিধান অস্বীকার করবে তারা কাফের, ফাসেক ও জালেম হিসেবে সাব্যস্ত হবে। ইরশাদ হচ্ছে, "যারা আল্লাহর নাজিল করা আইন অনুযায়ী বিচার ফায়সালা করে না তারা কাফের।আর যারাই আল্লাহর নাজিল করা বিধান অনুযায়ী বিচার ফায়সালা করে না তারাই জালেম।" সূরা আল মায়েদাঃ৪৪-৪৫। " যারাই আল্লাহর নাজিল করা আইনের ভিত্তিতে যাবতীয় কাজের বিচার ফায়সালা করে না তারাই ফাসেক।" সূরা আল মায়েদাঃ৪৭। আল্লাহর নাজিল করা আইন কানুন ও বিধি বিধান অনুযায়ী সকল কাজের ফায়সালা করার জন্য আল্লাহ তায়ালা সরাসরি আদেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হচ্ছে, "তোমার উপর আল্লাহ তায়ালা যে আইন কানুন নাজিল করেছেন তুমি তারই ভিত্তিতে এদের মাঝে বিচার ফায়সালা করো এবং কখনো এদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করোনা এবং তাদের থেকে সতর্ক থেকো। যা কিছু আল্লাহ তায়ালা তোমার উপর নাজিল করেছেন,তার কোনো কোনো বিষয়ে তারা যেনো কখনো তোমাকে ফিতনায় ফেলতে না পারে। অতপর এরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে জেনে রেখো, আল্লাহ তায়ালা তাদের নিজেদেরই কোনো গুনাহের জন্য তাদের কোনো রকম মুসিবতে ফেলতে চান। মানুষের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে অবাধ্য। তবে কি তারা জাহেলিয়াতের বিচার ব্যবস্থা তালাশ করছে? অথচ যারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে তাদের কাছে আল্লাহর চেয়ে উত্তম বিচারক আর কে হতে পারে?" সূরা আল মায়েদাঃ৪৯-৫০। আল্লাহর নাজিল করা আইনের উপর ঈমান আনতে মানব জাতিকে আহ্বান করা হচ্ছে এভাবে, "হে মানুষেরা, আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে তোমাদের জন্য সঠিক বিধান নিয়ে রাসুল এসেছেন। যদি তার উপর তোমরা ঈমান আনো, তাতে তোমাদের জন্যই কল্যান রয়েছে। আর তোমরা যদি তা মেনে নিতে অস্বীকার করো তাহলে জেনে রেখো, এই আসমান জমিনের সর্বত্র যা কিছু আছে তার সবকিছুই আল্লাহ তায়ালার জন্য এবং আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ ও কুশলি।" সূরা আন নিসাঃ১৭০। আল্লাহর কাছ থেকে নাজিল করা কুরআন মজিদ মানব জাতির জন্য রহমত। ইরশাদ হচ্ছে, "হে মানুষ তোমাদের কাছে তোমাদের 'রব'- এর পক্ষ থেকে নসিহত এসেছে, মানুষের অন্তরে যেসব ব্যাধি রয়েছে এটি তার নিরাময়কারী এবং মুমিনদের জন্য রহমত ও হেদায়েত।" সূরা ইউনুসঃ৫৭। উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে বুঝতে অসুবিধার কথা নয়, আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য একটি পরিপূর্ণ বিধান দিয়েছেন এবং সেই বিধান অনুযায়ী সকল কাজের বিচার ফায়সালা করতে আদেশ দিয়েছেন। গতকাল ২০শে জানুয়ারি বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন একটি অনন্যসাধারণ ও যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করেছেন। বিভিন্ন প্রকার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া ৪৯ জন শিশুর ০১ বছর করে সাজা হয়েছে। মাননীয় বিচারক তাদেরকে সাজা ভোগ করতে কারাগারে না দিয়ে ১০টি শর্তে তাদেরকে তাদের পরিবারে মা-বাবার কাছে পাঠিয়েছেন। পরিবারে অবস্থান করেই তারা আদালতের দেয়া সাজা ভোগ করবে। এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী সাজা। আসলে এটাকে সাজা না বলে সংশোধনীমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণও বলা যায়। বিচারকের দেয়া এই শিক্ষাটা তারা যদি পরিবারের কাছ থেকে আগেই পেতো তাহলে সম্ভবত তারা কোনো ধরনের অপরাধে জড়াতো না। সুতরাং, দেশের সকল পরিবারের জন্য এই রায়টি একটি উদাহরণ ও শিক্ষা এবং প্রত্যেক পরিবারের মা-বাবা তাদের সন্তানের উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য এই ১০টি কাজের কর্মসূচী গ্রহণ করতে পারেন। ১০টি শর্তের এক নম্বরটি হলো, ১০০ মনীষীর জীবনী গ্রন্থটি পাঠ করা। এই গ্রন্থটি যারা পড়েছেন তারা জানেন, এই গ্রন্থে বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০ জন মহামানবের জীবনের আলোচনা করা হয়েছে এবং এক নম্বরে যাঁকে স্থান দেয়া হয়েছে তিনি হলেন মানবতার মুক্তির দূত রহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি মানব জাতির ত্রাণকর্তা। তিনি তাঁর উম্মতের কল্যান কামনায় সর্বদা ব্যকুল ছিলেন। মানব জাতির কল্যানের জন্য তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তাঁর সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তোমাদের কাছে তোমাদেরই মধ্য থেকে একজন রাসুল এসেছে। তোমাদের কোনো রকম কষ্ট ভোগ তাঁর কাছে দুঃসহ, সে তোমাদের একান্ত কল্যানকামী, ঈমানদারদের প্রতি সে হচ্ছে স্নেহপরায়ণ ও পরম দয়ালু।" সূরা আত্ তওবাঃ১২৮। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের জীবনে উত্তম আদর্শ রয়েছে এমন প্রতিটি ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ পেতে আগ্রহী এবং যে পরকালের আশা করে, সে বেশি পরিমাণে আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে।" সূরা আল আহযাবঃ২১। আল্লাহ তায়ালা তাঁর চরিত্র সম্পর্কে বলেন, "নিসন্দেহে তুমি মহান চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছো।" সূরা আল ক্কালামঃ৪। তিনি জীবনে কখনো মিথ্যা কথা বলেননি। এই জন্য ভিন্ন মতাবলম্বীরাও তাঁকে আলামিন বা বিশ্বাসী বলে ডাকতো। তিনি এতোটাই আমানতদার ও বিশ্বাসী ছিলেন যে, যারা তাঁর শত্রুতা করতো তারাও তাদের দামী দামী জিনিসপত্র এমনকি স্বর্ণালঙ্কারও তাঁর জিম্মায় রেখে দিতো। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন মানব জাতির জন্য দয়া, অনুগ্রহ ও রহমতের মূর্ত প্রতীক। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "হে রাসুল আমি তো তোমাকে সমগ্র সৃষ্টিকুলের জন্য রহমত বানিয়ে পাঠিয়েছি।" সূরা আল আম্বিয়াঃ১০৭। এছাড়া উক্ত গ্রন্থে আরো যে সকল মহামানবের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তাঁরাও মানব জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং মনীষা, প্রতিভা, প্রজ্ঞা ও উত্তম চরিত্রের দিকপাল। সুতরাং, সাজাপ্রাপ্ত শিশুদের ১০০ মনীষীর জীবনী গ্রন্থ পাঠ করতে দিয়ে বিচারক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন এবং তাদের সংশোধনের দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছেন। এরপর বিচারক তাদেরকে দুই ও তিন নম্বর শর্ত দিয়েছেনঃ ২) মা-বাবাসহ গুরুজনদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলা এবং ৩) মা-বাবার সেবাযত্ন করা এবং কাজেকর্মে তাদের সাহায্য করা। এবিষয়ে কুরআন মজিদে আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে যে নসিহত করেছেন তা হলো, "তোমার রব আদেশ করেছেন, তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কারো ইবাদত করো না এবং তোমরা পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যাবহার করো ; তাদের একজন কিংবা উভয়ই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তাহলে তাদেরকে বিরক্তিসূচক কিছু বলো না এবং কখনো তাদের ধমক দিওনা, তাদের সাথে সম্মানজনক ও ভদ্রজনোচিত কথা বলো। অনুকম্পায় তুমি তাঁদের প্রতি বিনয়াবনত হয়ে থাকো এবং বলো, হে আমার রব, তাঁদের প্রতি তুমি দয়া করো যেমনি করে শৈশবে তাঁরা আমাকে লালনপালন করেছিলেন।" সূরা বনী ইসরাইলঃ২৩-২৪। এরপর ৪) নম্বর শর্ত হলো, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তাদেরকে এছাড়া আর কিছুরই আদেশ দেয়া হয়নি যে,তারা আল্লাহর জন্যই নিজেদের দ্বীন ও ইবাদত নিবেদিত করে নেবে এবং সালাত কায়েম করবে, যাকাত দান করবে। এটাই হচ্ছে সঠিক জীবন বিধান।" সূরা আল বাইয়্যিনাহ্ঃ৫। ৫) নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, নিয়মিত ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করা। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, "অথবা তার উপর কিছু বাড়িয়ে নাও, আর তুমি কুরআন তেলাওয়াত করো থেমে থেমে।" সূরা আল মুজ্জাম্মিলঃ৪। ৬) নম্বর শর্ত হলো, প্রত্যেকে কমপক্ষে ২০ টি করে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আমি জমিনকে বিছিয়ে দিয়েছি। তার মধ্যে স্থাপন করেছি মজবুত পাহাড়সমূহ। আবার এই জমিনে আমি উদগত করেছি সব ধরনের চোখ জুড়ানো উদ্ভিদ।" সূরা ক্কাফঃ৭। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব হাদিসে এসেছে এভাবে, "যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তবে তা উৎপাদনকারীর জন্য সদকা (দান) স্বরূপ গণ্য হবে।" বুখারি, হাদিস: ২৩২০। ৭) নম্বরে বলা হয়েছে, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা। কুরআন মজিদে ইরশাদ হচ্ছে, "তারা বলবে, হে জাহান্নামের অধিবাসীরা তোমাদের আজ কিসে এ ভয়াবহ আজাবে উপনীত করেছে? তারা বলবে, আমরা নামাজিদের দলে শামিল ছিলাম না। অভাবীদের আমরা খাবার দিতামনা। যারা অন্যায় অমূলক আলোচনায় উদ্যত হতো আমরা তাদের সাথে যোগ দিতাম।" সূরা আল মুদ্দাসিসরঃ৪২-৪৬। ৮) নম্বরে মাদক থেকে দূরে থাকা। ইরশাদ হচ্ছে, "হে মানুষ তোমরা যারা ঈমান এনেছো মদ, জুয়া, পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর হচ্ছে ঘৃণিত শয়তানের কাজ। অতএব তোমরা তা বর্জন করো। আশা করা যায় তোমরা মুক্তি পাবে। শয়তান এই মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দিতে চায় এবং এভাবে সে তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। তোমরা কি ফিরে আসবেনা?" সূরা আল মায়েদাঃ৯০-৯১। এরপর ৯) নম্বরে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নিজেকে অপরাধের সাথে না জড়ানো। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "হে ঈমানদার লোকেরা তোমরা আল্লাহর দরবারে তাওবা করো ; একান্ত খাঁটি তাওবা। আশা করা যায় তোমাদের মালিক তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দেবেন এবং এর বিনিময়ে তিনি তোমাদের প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে ঝর্ণাধারা। সেদিন আল্লাহ তায়ালা নবী ও তাঁর সাথী ঈমানদার লোকদের অপমানিত করবেন না। তাদের জ্যোতি তাদের সামনে ও ডান পাশ দিয়ে ধাবমান হবে। তারা বলবে, হে আমাদের মালিক আমাদের জন্য আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণ করে দাও, তুমি আমাদের মাফ করে দাও, অবশ্যই তুমি সব কিছুর উপর একক ক্ষমতাবান।" সূরা আত্ তাহরিমঃ৮। ১০) নম্বরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, 'পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।' সহীহ মুসলিমঃ২২৩। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তুমি সেখানে দাঁড়াবেনা - তোমার তো দাঁড়ানো উচিত সেখানে, যে মসজিদ প্রথম দিন থেকেই আল্লাহর ভয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এমন কিছু মানুষ আছে, যারা নিজেরা সবসময় পাক পবিত্র হওয়া পছন্দ করে। আর আল্লাহ তায়ালা তো পাক পবিত্র লোকদেরই ভালোবাসেন।" সূরা আত্ তাওবাঃ১০৮। প্রমাণিত হয়েছে যে, শিশু কিশোরদের সংশোধনের জন্য কুরআন মজিদ ও হাদিসের অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং, বিদ্যালয়ে কুরআন ও হাদিসের বিষয়বস্তু পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। আমাদের সময়ে ৪০ হাদিস পড়ানো হয়েছে। সেকালে অপরাধও কম ছিলো। কিশোর গ্যাং বা কিশোর কিশোরীদের অপরাধের কোনো অস্তিত্বই ছিলো না। কিশোর কিশোরী অথবা যে কোনো লোক কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা থেকে যতোটা দূরে সরে যাবে যতোটা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে এবং অপরাধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ততোধিক তরান্বিত হবে।
একদম সঠিক বলেছেন হোজুর, আল্লাহর আইন হল সবদিক দিয়ে নির্ভুল আইন (যদিও কিছু অশিক্ষিত লোক এটার ‌এই আইন ভালো মতো যাছাই না করেই বা ইচ্ছাকৃত ভাবে বিরোধিতা করে, আর এরা সংখ্যায় অল্প)
কোরানি আইন জানা মৌলানারাও তো কুকর্ম করে ধরা পরে ì তাহলে কিভাবে বিশ্বাস করি কোরানি আইন হলেই মানুষ বদলে যাবে ? আসল কথা হল মানুষের চরিত্র । আইন যেভাবে আছে মানলে শান্তি আসবে । আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে । আইন লেখা থাকে কাগজে। মানার অভ্যাসের জন্য তা প্রয়োগ করতে হবে।
Nurul Alam
২২ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ৯:২৫দুখের বিষয়ে কোরআন পড়া আলেমরা ই বলাৎকার করেন। এদের আগে হেদায়েত করেন। দিতীয়ত: আপনারা সব 1000 দলে বিভক্ত।এক হতে পারবেন না আর ইসলামী ব্যবষতা সমভব নয।বরং ইসলামী বযান দিয়ে ভাল করার চেষ্টা করেন।