ফুলবাড়ীয়ায় ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫০ পরিবার ২ শতক কবুলিয়াত রেজিস্ট্রি দলিলসহ ৫ রুম বিশিষ্ট একটি করে পাকা বাড়ি পাচ্ছেন। আগামী ২৩ জানুয়ারি ফুলবাড়িয়াতেও এসকল বাড়ী সংশ্লিষ্টদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক।
জানা যায়, ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগানকে সামনে রেখে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কালাদহ, বাকতা, এনায়েতপুর, কুশমাইল, নাওগাও ইউনিয়নের খাস জমিতে ৫০জন ভূমি ও গৃহহীন ব্যক্তির নামের তালিকা চূড়ান্ত করে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রশাসন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এসব আধা পাকা বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। মাটি ভরাট, রাজমিস্ত্রি, কাঠ মিস্ত্রি, গ্রিল মিস্ত্রি, রংমিস্ত্রিসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে মাঠে নামে প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাড়ে ১৯ ফুট লম্বা সাড়ে ১০ফুট প্রস্থ একটি ঘরে ২টি শয়নকক্ষ, সাথে যুক্ত সাড়ে ১৩ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট প্রস্থ অন্য একটি ঘর- যেখানে রয়েছে ১টি কিচেন, ১টি গোসলখানা ও ১টি টয়লেট। ২টি দরজা, ৫টি জানালা, উপরে রঙিন টিন হাফ বিল্ডিং প্রতিটি ঘরের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। তাতে ৫০টি ঘর করতে খরচ হচ্ছে ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এনায়েতপুর ইউনিয়নের কাহালগাঁও ১৯, এনায়েতপুর ৮, নাওগাও ইউনিয়নের সন্তোষপুর ১৩, একই ইউনিয়নের হরিরামবাড়ী ৬, কালাদহের পাটিরা ২, বাক্তার কৈয়ারচালা ১ ও কুশমাইলের ধামর গ্রামে ১টি করে মোট ৫০টি আধা পাকা বাড়ি নির্মাণে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত শ্রমিক কাজ করছে। উপজেলা প্রশাসনের ব্যক্তিরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ তদারকি করছেন।
মান সম্মত ঘর নির্মাণে খুশি স্থানীয় ভোক্তভোগীরা। প্রতিবেশি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনেক শক্তিশালী মজবুত ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের ঘরের তুলনায় এসব ঘর মান সম্মত। শেখ হাসিনার সরকারের এমন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাতেই হয়।
ঘর পাওয়া জয়নাল আবেদীন (৫০) জানান, জীবনেও চিন্তা করি নাই পাকা ঘরে থাকমু। (ইউএনও) সাবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।