টঙ্গীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী স্বপন গতকাল টঙ্গী পশ্চিম থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। সে ২টি খুন ও ২১টি মাদকসহ ২৩ মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বলে জানিয়েছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম। গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে টঙ্গী পশ্চিম থানায় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান। এ সময় টঙ্গী পশ্চিম জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী কমিশনার আশরাফুল ইসলাম পিপিএম উপস্থিত ছিলেন।
আশরাফুল ইসলাম (পিপিএম) এ ব্যাপারে জানান, টঙ্গী একটি মাদকপ্রবণ এলাকা। অত্র এলাকায় যেসব মাদক কারবারি রয়েছে তারা যদি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করতে চায় আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবো। কেউ নিজের ভুল বুঝতে পেরে অন্ধকার পথ থেকে আলোর পথে আসতে চাইলে তাকে আমরা স্বাগত জানাব। যদি মাদক কারবারিদের আমরা উদ্বুদ্ধ করে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করাতে পারি তাহলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সামাজিক দূরত্ব হ্রাস পাবে।
মাদকের অন্ধকার জগৎ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ২৩ মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মাহবুবুর রহমান স্বপনকে (৩৫) গত এক সপ্তাহ টেলিফোনে ও তার পরিবারের মাধ্যমে কাউন্সিলিং করে আত্মসমর্পণে উদ্বুুদ্ধ করেন। পুলিশের কাউন্সিলিং এ উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মসমর্পণে রাজি হলে গতকাল সকাল ১১টায় টঙ্গী বাজার হাজীর মাজার বস্তিতে ওসি শাহ আলম ও সাব ইন্সপেক্টর নজমুল হুদার নেতৃত্বে একদল পুলিশের উপস্থিতিতে স্বপন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণের পর আসামি স্বপনকে টঙ্গী পশ্চিম থানায় এনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ফুল দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানানো হয়। এরপর সাংবাদিকদের ব্রিফিং শেষে তাকে গাজীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
স্বপন জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানাধীন ফুলকারচর গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে বলে জানায়। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার ১৩ বছরের একটি ছেলে আছে। সে লেখাপড়া করছে। আমি চাই না আমার ছেলেকে মানুষ মাদক ব্যবসায়ীর ছেলে বলুক। সেজন্য আমি অন্ধকার থেকে আলোর জগতে ফিরতে চাই।’