× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সংবাদ সম্মেলন / কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জাফলংয়ে ‘লঙ্কাকাণ্ড’, মামলা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জাফলংয়ে ঘটেছে লঙ্কাকাণ্ড। বাড়িঘরে হামলা, পাল্টাপাল্টি মামলা ও জোরপূর্বক টিপসই নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আলিম উদ্দিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন কালীনগর গ্রামের আল-আমিন। জাফলংয়ের আলিম উদ্দিন ও তার শ্যালক তাহির মিয়া কলেজছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি। তাহির মিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ওই কলেজছাত্রীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিল। দুই মামলার আসামি হওয়ার পর আলিম উদ্দিন এলাকার মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিয়ে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সংবাদ সম্মেলনে কালীনগর গ্রামের আল -আমীন জানান, তার শ্যালিকা লিজাকে দিয়ে নয়াবস্তি গ্রামের বাসিন্দা সংবাদকর্মী আকবর হোসেন, ইউসূফ আলী, ইসলামউদ্দিন ও সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দিতে ৬ লাখ টাকা প্রস্তাব করে।
এতে লিজা রাজি না হলে একই এলাকার রত্না নামের আরো এক তরুণীর সঙ্গে আলিম উদ্দিনের ভাই শাহজাহান কন্ট্রাক্ট করে। চলতি মাসের প্রথম দিকে মামলার আলামত সৃষ্টি করতে রত্নাকে শাহজাহানের বাড়িতে নিয়ে গেলে ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনাটি জানিয়ে দেয় আল-আমিনের শ্যালিকা লিজা। পরে পুলিশ এসে শাহজাহানের ঘর থেকে রত্নাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ১৩ই জানুয়ারি বিকালে আলীম, শাহজাহান, রেজওয়ান ও দেলোয়ারসহ কয়েকজন আল-আমিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৪ মাসের অন্তসত্বা স্ত্রী পারুল বেগমসহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। এ ঘটনার পরদিন আল-আমিন বাদী হয়ে থানায় আলীম উদ্দিন, শাহজাহান, রেজওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এদিকে, ঘটনার পরদিন বিকালে মামলার বাদী সানোয়ারা বেগমের ঘরে হামলা চালায় আসামিরা। এ হামলার ঘটনার খবর পেয়ে সংবাদকর্মী আকবর সেখানে গেলে পাল্টা তাকে হামলাকারী সাজিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান আল-আমিন। এখন মিথ্যা ঘটনায় আলিম বাহিনীর হামলায় সংবাদকর্মী আকবর কারাগারে রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আল-আমিন জানান, মামলা তুলে নিতে আলিম উদ্দিন ও তার সহযোগীরা গত দু’দিন আগে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক আটকে একটি সাদা কাগজে টিপসই নিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান। তিনি জানান, আকবরের বড় ভাই মো. আজগর আলী ও চাচাতো ভাই সোহেল আহমদকে অস্ত্র, নারী নির্যাতন মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সিলেটের প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর