× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চসিক নির্বাচন / নৌকার মিছিল থেকে হামলা মামলা বিএনপি নেতাকর্মীর নামে

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

নৌকা প্রতীকের মিছিল থেকে হামলা হলেও মামলা হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ মামলায় ৪৫ জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এমন অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের। এর মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান গতকাল বিকালে বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয় লক্ষ্য করে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আতঙ্কিত হয়ে আমরা কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করি। এ সময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন কার্যালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন। বাইরে থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় কার্যালয় থেকে কেউ বের হওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় আমাদের ব্যবহৃত গাড়িগুলোও ভাঙচুর করা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় গতকাল সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় বিএনপি ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আশরাফুল হক চৌধুরী পাভেলকে বাদী করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বিএনপির দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য এই মামলা দেয়া হয়েছে। এটা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন আবু সুফিয়ান।  কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন, গত বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে কার্যালয়ের সামনে দিয়ে ছাত্রলীগের একটি নির্বাচনী মিছিল অতিক্রম করার সময় বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ককটেল ছুড়ে মারা হয়। এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে উপস্থিত ছাত্রলীগ কর্মীরাও ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। একপর্যায়ে বিএনপি কর্মীরা নৌকার নির্বাচনে ক্যামেপ হামলা চালায়। এ ঘটনায় আশরাফুল হক চৌধুরী পাভেল বাদী হয়ে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী ঘটনার বিবরণ লিখেন বলে জানান তিনি।
 
তিনি জানান, মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- এইচএম রাশেদ খান (৪০), হারুন অর রশিদ (৪৫), সৈয়দ আবুল বশর (৪০), মো. শাহনেওয়াজ (৪৫), মো. দেলোয়ার হোসেন (৫০), মো. আকতার খান (৫৩), মো. ইমন (৩৫), জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০), মো. সাকিব (২৭), খলিল (৩০), আলী হাসান রাজু (৪৫), এমরান (৩৫), আলী হোসেন (৩৫), আবদুল মোতালেব প্রকাশ কিং মোতালেব (৩৫), মো. আবদুল জলিল (৪৬), রাব্বী (২০), মঞ্জুর রহমান চৌধুরী (৫৬), মো. ইউসুফ (৪৩), মো. আসিফ (২০), মো. সেলিম (৫২), জাহেদ উল্লাহ রাশেদ (৩৭), মোহাম্মদ আলী মিঠু (৪৫), মো. হুমায়ুন (২৮), শেখ রাসেল (৩৮), শাহ ইমরান সিদ্দীকি জ্যাকসন (৩৬), মো. মিন্টু প্রকাশ মিনু (৩৭), সোহেল (৩০), বাবু (৪০), মো. সেলিম (৩৫), মো. জাহেদ (৩৭), মো. সাজ্জাদ (৩০), মো. তালেব (৪১), মো. সাইফুল (৩৫), মো. শাহাদাত হোসেন নাবিল (২৫), মো. হোসেন (৩৬), আবদুস সোবহান (২৮), রিপন (৪৭), মো. নাসির (৪৫), মো. হোসেন প্রকাশ মাসুম (৪৭), মো. হাছান (৪৩), মো. মোতালেব (২৪), সামছুল ইসলাম (৪০), যুবরাজ (৩৫), কায়সার (৪০) ও নুর হোসেন (৩৫)। আসামিরা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে চসিকের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমন বলেন, নৌকার নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় অতর্কিত হামলা করা হয় বিএনপি কার্যালয় থেকে। ভাঙা হয় নৌকার নির্বাচনী ক্যামপ। ওই মিছিলে আমি নিজে ছিলাম এবং ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর