× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিনা অপরাধে ৫ বছরের জেল মুক্তি পেলেন আরমান

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

বিনা অপরাধে ৫ বছর কারাগারে আটক থাকা রাজধানীর পল্লবীর বেনারসি কারিগর মো. আরমানকে হাইকোর্টের নির্দেশে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে কাশিমপুর-২ থেকে মুক্তি দেয়ার পর তাকে পরিবারের লোকজন বাড়ি নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জেল সুপার আব্দুল জলিল।
২০০৫ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আসামিদের দেয়া তথ্যে তাদের সহযোগীদের ধরতে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম সিদ্দিকী পল্লবীর বিহারী ক্যাম্পের এক বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহাবুদ্দিন বিহারী ও তার দুই সহযোগী আটক হয়।
এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা হয় মাদক দ্রব্য আইনে। পরে ২০০৫ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর শাহাবুদ্দিনসহ গ্রেপ্তার ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০০৭ সালের ৫ই মার্চ জামিনে মুক্ত হন শাহাবুদ্দিন। ২০১১ সালের ১৭ই জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবার জামিন আবেদন করেন তিনি।
এতে জামিন মেলে তার। এরপর ফেরারী হয়ে যান শাহাবুদ্দিন। তার দুই সহযোগী থেকে যান কারাগারে। ২০১২ সালের ১লা অক্টোবর মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার দুই সহযোগীর প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ঢাকার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফারুক আহম্মদ। এরপর পলাতক শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়।
এ ঘটনার দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালের ২৭শে জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পল্লবীর ১৩ হাটস, ব্লক-এ, সেকশন ১০ নম্বর এলাকায় অভিযান চালায় পল্লবী থানার পুলিশ। এ অভিযানে ছিলেন তৎকালীন ওই থানার এসআই রাসেল, যিনি বর্তমানে মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত। আরমান বাসায় নাশতা সেরে চা পানের জন্য পাশের একটি চায়ের দোকানে যান। অভিযানকারীরা সেখান থেকে শাহাবুদ্দিনের বাবার নামের সঙ্গে মিল থাকায় আরমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে আরমানকে কাশিমপুর কারাগার-২ এ রাখা হয়।
আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লব এর এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩১শে ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আরমানকে মুক্তি দেয়াসহ তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশ দেন। বিনা অপরাধে জেলা খাটার বিষয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন আরমান ও তার স্বজনরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর