× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তাহিরপুরে এক মাস ধরে সকালে বিদ্যুৎ গেলে আসে সন্ধ্যায়

অনলাইন

এম.এ রাজ্জাক তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২২, ২০২১, শুক্রবার, ২:২৩ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কিছু এলাকায় গত এক মাস ধরে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত টানা ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে না। এক মাস ধরে বিদ্যুৎ সকাল ৬ টার দিকে গেলে আসে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে। ফলে টানা ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকছে উপজেলার কিছু অংশের বিদ্যুৎ গ্রাহক সহ বিদ্যুতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন এভাবে বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করায় উপজেলার বাদাঘাট, উত্তর বড়দল, দক্ষিণ বড়দল ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কিছু এলাকার বাজার ও গ্রামের বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল মানুষজন অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

জানা যায়, বিশ্বম্ভপুর ও বাদাঘাট ৩৩ কেভির মেইন লাইনের বিদ্যুৎ আপডেট, লাইন ভাগ এবং ঠিকাদারি একটি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইনের পুরাতন কাঠের খুটি পরিবর্তন করে পাঁকা খুটি স্থাপন করায় বেশ কয়েকদিন ধরে এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে । তারা চেষ্টা করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে মেইন লাইন মেরামত করে পল্লী বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে। কিন্তু গত এক মাস ধরে উপজেলার এক অংশে বিদ্যুৎ থাকলে অপর অংশে বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রাহক সহ ব্যবসাীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বালিয়াঘাট নতুন বাজারের ব্যবসায়ী ইসলাম উদ্দিন বলেন, প্রায় এক মাস ধরে টানা ১২ ঘন্টা নিয়মিত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল বাজারের ব্যবসায়ীরা কঠিন সমস্যায় পড়েছেন।
বিশেষ করে যারা এনজিও ঋন এনেছেন তারা সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না।

শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খসরুল আলম  বলেন, বিদ্যুতের লাইন মেরামত করা জরুরী। তবে সারাদিন বন্ধ না রেখে দুপুর দিকে ১ থেকে দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে বাজারের বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীর ব্যবসায়ীরা তাদের কাজ কিছুটা হলেও সারতে পারতো।

তাহিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক মোর্শেদ আলম বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে বাদাঘাট আসা মেইন লাইনটি বিদ্যুৎ আপডেট করার কারনে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বর্তমানে এক উপজেলার বিদ্যুৎ দিয়ে দুই উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কারনে এমন সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুতের একটি টিকাদারি প্রতিষ্টা খুটি পরিবর্তন করছে, তাদের কে বলছি দ্রুত কাজ করার জন্য।

সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার অখিল কুমার শাহ বলেন, বাদাঘাট ও বিশ্বম্ভপুর ৩৩ কেভি বিদ্যুতের মেইন লাইন ভাগ করার কারনে দিনে লাইন অফ রেখে কাজ করতে হচ্ছে। যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক মতো করা যাচ্ছে না। আপাতত জামালগঞ্জ থেকে বিদ্যুৎ এনে তাহিরপুর কিছু এলাকায় রাতে সরবরাহ করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর