হবিগঞ্জের মাধবপুরে পুলিশি হয়রানি ও প্রভাবশালী ভাইদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক নিরীহ কৃষক পরিবার। গতকাল দুপুরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হয়রানির শিকার কৃষক মোহাম্মদ আক্তার সোলাইমানের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, তিনিসহ তার পিতা ৫ জন ওয়ারিশান রেখে ২০০৮ সালে মারা যান। নিজামুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও তোফাজ্জুল ইসলাম নামে তার তিন ভাই রয়েছে। তারা তিন ভাইয়েরা কেউ সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে ভাল অবস্থানে রয়েছে। পরিবারের শুধু সোলেমান লেখাপড়া না করে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ দেখাশুনা করতো। পিতা মারা যাওয়ার পূর্বে বাড়ির সম্পদ ও গাছপালা এবং দুই বিঘা জমি অসহায় ছেলে সোলাইমানের নামে অছিয়ত করে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন অন্যান্য ভাইয়েরা। প্রথমে তারা অশিক্ষিত ভাইয়ের সকল কাগজপত্র হাতিয়ে নিয়ে কিছু জায়গা বিক্রি করে দেন।
বাড়ির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। বাধ্য হয়ে সোলেমান অন্য আত্মীয়দের সহযোগিতায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে তারা আরো আক্রোশপ্রবণ হয়ে উঠেন। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেন স্থানীয় কাশিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আতিককে। গত ১৩ই জানুয়ারি এএসআই আতিককে বাড়িতে এনে তাকে হয়রানির চেষ্টা করা হয়। ১৬ই জানুয়ারিও ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার ভাইদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আক্তার সোলাইমানের স্ত্রী হেলেনা আক্তারকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তার মেয়ে তানজিনা আক্তার ৯৯৯-এ ফোন করে এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ জানতে চাইলে সে উপরমহলের নির্দেশ রয়েছে বলে জানায়। প্রভাবশালী ভাইয়েরা তাদের প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করেন। পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন।
ফলে একদিকে পুলিশ অন্যদিকে প্রভাবশালী তিন ভাই ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে গত ১০ দিন ধরে বাড়িছাড়া ওই অসহায় কৃষক। পুলিশি হয়রানির থেকে মুক্তি ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে দাবি জানান কৃষক সোলেমান। সংবাদ সম্মেলনে বাবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেয়ে তানজিরা আক্তার।