আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই মির্জা আবদুল কাদের রাজাকার পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে দেয়া বক্তব্যে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি মানবজমিনকে বলেছেন, সত্য বলার জন্য দল থেকে বহিষ্কার হলে কোনো সমস্যা নেই। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজের আইডি থেকে এক ফেসবুক লাইভে তিনি একটি বার্তা প্রচার করেন। এতে ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের উল্লেখ করেন। তার ওই ভিডিও ফেসবুকে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় তা আবার সরিয়ে ফেলা হয়। যদিও এমপি একরাম চৌধুরীর ওই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।
ভিডিও বার্তায় একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলবো না। আমি কথা বলবো ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে।
একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কথা বলবো। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করবো।
এই ভিডিও বার্তা দেয়া এবং সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সকালে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে মানবজমিন। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের বাবা ছিলেন মুসলিম লীগের লোক। ওনার চাচাতো রাজাকার কমান্ডার ছিলেন, কাদের ভাই নিজে গিয়ে গুলি করে মেরেছে। তাদের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনীর সদস্য, আর মামা ছিলেন রাজাকার।
এতোদিন পরে কেনো বলছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মির্জা সাহেব এক মাস দুইদিন হয়ে গেলো কন্টিনিউ এমপিদের অপমান করে যাচ্ছেন। ওনার ভাই ওবায়দুল কাদের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। উনি কোনো বিচার করছেন না। এখন আমি একটু বলে দেখলাম। এই কথা বলার জন্য আমাকে বহিষ্কার করলে হয়ে যাবো, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দলটা সুসংগঠিত থাকুক। এতো নিম্ন পর্যায়ের একজন নেতা, দলের এতো বড় বড় নেতাদের যা ইচ্ছে তা বলে যাচ্ছে, এটা আমার বিবেককে তাড়না দেয়।
রাতের লাইভে বলা ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ফেলে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিলিট করেছি এক ধরনের চিন্তা থেকে, আমি যখন দেখলাম একটি রাজাকার পরিবারের সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করছে, যেমন আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এসব ভাবলাম। তাছাড়া আরেকটি কারণ হচ্ছে আমার ছেলে বলছে, এটা ডিলিট করে দেয়ার জন্য। আমি ছেলের অনুরোধ রেখেছি। তার কথায় তিনি অটুট আছেন কিনা জানতে চাইলে, এই এমপি বলেন, অবশ্যই ঠিক আছি। তারপরও যদি আমাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দলকে সঠিকভাবে নিয়ে আসা হয়। উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস না পায় এবং কথা বলতে যেনো ভেবেচিন্তে বলে।