× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ড্রোনের টার্গেটে ট্রাম্পসদৃশ ছবি এবং...

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২৩, ২০২১, শনিবার, ৩:৩৩ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মতো দেখা যায় এমন একজন গলফারের ছবি শুক্রবার পোস্ট করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এতে দেখানো হয়েছে, তাকে টার্গেট করেছে একটি ড্রোন। এর পাশে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, গত বছর ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমারিকে হত্যার বদলা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, এই ছবি পোস্ট করা হয়েছে খামেনির নিজস্ব ওয়েবসাইটে। প্রথমে তা পোস্ট করা হয়েছিল ফার্সি ভাষায় টুইটারে। কিন্তু ভুয়া আখ্যায়িত করে তা সাইট থেকে শুক্রবার সরিয়ে ফেলেছে টুইটার।  

গত বছর জানুয়ারিতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ মাসে ওই হামলার প্রথম বার্ষিকী পালিত হয়। সেটাকে মার্ক করে ওয়েবসাইটে ছবি পোস্ট করেছেন খামেনি। ছবির উপরে মন্তব্যে লেখা হয়েছেÑ (কাসেম সোলাইমানকে) হত্যাকারী এবং হত্যার নির্দেশদাতা উভয়েরই জানা উচিত, যেকোন সময় প্রতিশোধ আসতে পারে। ছবিতে দেখা গেছে, দীর্ঘদেহী একজন গলফ খেলোয়াড়ের ওপর ক্রমশ ড্রোনের ছায়া পড়ছে। ট্রাম্প নিয়মিত গলফ খেলেন। তবে এই ছবিতে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

২০১৮ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। এরপর থেকেই দেশদুটির মধ্যে উত্তেজনা তীব্র থেকে তীব্র হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হবে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে তেহরান বিশ্বের ৬টি শক্তিধর দেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি করে। কিন্তু কারো কোনো কথা না শুনে ২০১৮ সালে একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। তিনি নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক অবরোধ আরোপ করতে থাকেন।
এরপর গত বছর ইরাকের বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হত্যা করে সোলাইমানিকে। জবাবে ইরাকে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনা টার্গেট করে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। এর পর সেখানে যুদ্ধপরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। কিন্তু উভয় পক্ষই পশ্চাৎধাবন করে। তবে ট্রাম্পের ক্ষমতার শেষ কয়েকদিনে সেই যুদ্ধ নিয়ে গা শিউরে উঠার মতো আতঙ্ক আবার পেয়ে বসে। তবে সেই কালোমেঘ কেটে গেছে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। ওয়াশিংটনে ক্ষমতায় এসেছেন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমাধান করে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চান তিনি। এমন অবস্থায় ইরানের নেতার ওই ছবি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাইডেনের হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্ন। তিনি বলেছেন, ইরানের কাছ থেকে এরকম হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়। এমন উস্কানিমূলক কর্মকা-ের নিন্দা জানাই আমরা। ইরান যেভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখবো। অন্যদিকে প্রতিনিধি পরিষদের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান মাইকেল ম্যাকাল আগেভাগেই বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এভাবে জোর করে হুমকি দেয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি খামেনির টুইটার একাউন্ট স্থায়ীভাবে এবং অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন টুইটার কর্তৃপক্ষের প্রতি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর