× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘোড়ায় চড়ে বর পালকিতে কনে

বাংলারজমিন

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার

শুধু শখ থেকে নয় গ্রামীণ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে তেমনি একটি ব্যতিক্রমী বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। চিরায়ত গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ঘোড়া ও পালকির ব্যবহার হয়েছে একটি বিয়েতে। যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে ব্যতিক্রমী এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কোদালিয়া মাস্টার বাড়ি গ্রামের জাকির হোসেন’র ছেলে আশরাফুল আনোয়ার রোজেন। যিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থায় কর্মরত। ছোটবেলা থেকেই তার শখ ছিল বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখবেন। সেজন্য তিনি ঘোড়ায় চড়ে শ্বশুরবাড়ি যাবেন।
আর পালকিতে করে বউ আনবেন। অবশেষে সেই শখ পূরণ হলো তার। গত শুক্রবার পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের পাশের ঘাগড়া গ্রামে বিয়ে করেন। উভয় পরিবার রোজেন এর শখ পূরণে এবং বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ব্যতিক্রমী এ বিয়ের আয়োজন করেন। কনে ঘাগড়া গ্রামের ড. ফরিদ আহম্মদ সৌবহানীর কন্যা নাবিলা সৌবহানী। যিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঘোড়ায় চড়ে নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে বরযাত্রী বের হয়। ঘোড়ায় চড়ে গ্রামীণ মেঠোপথ মাড়িয়ে দুই কিলোমিটার দূরের ঘাগড়া গ্রামে যান বর রোজেন। সেখানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে  পালকিতে করে বউ নিয়ে বাড়ি ফেরেন রোজেন। এর আগে ঘোড়ায় চড়া বর দেখতে ও বিভিন্ন জাতের ফুল দিয়ে সাজানো গ্রামীণ পালকিতে বউ দেখতে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ও শিশু বিয়ে বাড়িতে ভিড় জমান। শুধু তাই নয় ঘোড়া-পালকির বিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এ ব্যাপারে বর আশরাফুল আনোয়ার রোজেন বলেন, শখ থেকেই এমন আয়োজন। বিয়ের দিনটিকে স্মরণ করে রাখতেই ঘোড়া-পালকিতে বিয়ে। শখের পাশাপাশি গ্রামীণ সংস্কৃতি ধরে রাখতেই ব্যতিক্রমী এ আয়োজন। যদিও চিরায়ত গ্রাম বাংলার ঐহিত্য এখন বিলুপ্তির পথে। তিনি জানান, ঘোড়া সংগ্রহ করতে হয়েছে পার্শ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলা থেকে এবং পালকি ও বেহারা সংগ্রহ করতে হয়েছে নিকলী থেকে। হারানো ঐতিহ্যে জীবনের বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত বলেও জানিয়েছেন। দাম্পত্য জীবনে যেনো সুখী হন সেজন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর