ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নরেন্দ্র মোদির নেতাজি সম্পর্কিত সভা থেকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বেরিয়ে আসার ঘটনাকে সমর্থন করল বাম ও কংগ্রেস। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, কোনো অতিথিকে ডেকে এনে এভাবে অমার্জিত অপমান করার অধিকার কারো থাকতে পারে না। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনীতি ভ্রান্ত হতে পারে, কিন্তু তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর অনুষ্ঠানটাও সরকারি ছিল। একই সুরে কথা বলেছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম এবং সুজন চক্রবর্তী। সেলিম বলেছেন, সরকারি অনুষ্ঠানে এই স্লোগান দেওয়াটা অনুচিত হয়েছে। সুজন বলেন, যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজের সভায় যা করে থাকেন তার প্রতিফল পেয়েছেন, তাও বলবো মুখ্যমন্ত্রীকে সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শোনানো অন্যায় কাজ হয়েছে। চাঁচাছোলা ভাষায় শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে মোদির সভায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটির নিন্দা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
অধীর বাবু বলেছেন, বিজেপি যে অসভ্য একটি দল তা আর একবার প্রমান হল। সরকারি অনুষ্ঠানে এমন কাজ করা যায় না। বিজেপির পক্ষেই এটা করা সম্ভব। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নিন্দা করার ভাষা নেই। মমতা বন্দোপাধ্যায় ভাষণ না দিয়ে ঠিক কাজ করেছেন। বিজেপি অবশ্য স্রোতের উল্টোপিঠে হাটছে। বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গিও বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বন্দে মাতরম, জয় শ্রীরাম ধ্বনিগুলোতে আপত্তি কেন? মমতা বন্দোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতেই ওটা বলা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, প্রথমে বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান বয়কট করে, তার ওপর মোদিজির সভায় ভাষণ বয়কট করে মমতা বন্দোপাধ্যায় ভালো নিদর্শন রাখলেন না। পশ্চিম বাংলার মানুষ এর জন্যে ওকে ক্ষমা করবে না। একটু বেসুরো অবশ্য শুনিয়েছে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচাৰ্য এর কথা। শমীক বাবু বলেছেন, যা হয়েছে তা সঠিক হয়নি। সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান না উঠলেই ভালো হত।