বাংলারজমিন

শীতে কাহিল তাড়াশের মানুষ

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

২০২১-০১-২৫

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গত শুক্র, শনি ও রোববার সারাদিনই সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও কনকনে শীতল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে এ উপজেলার মানুষ। গতকাল রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে চলনবিলের তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। গত শুক্র, শনি ও রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রামাঞ্চলের মাঠগুলোতে ইরি-বোরো ধান রোপণ করার কারণে মাঠগুলো পানিতে ভিজিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কনকনে শীতল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। পৌর এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলে দিনের বেলায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে শীতার্ত মানুষকে। গত ৩ দিনে সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। সেই সঙ্গে বয়ে চলেছে কনকনে শীতল বাতাস। ওই বাতাসে নাজেহাল হয়ে পড়ে মানুষজন। রাতে কুয়াশা না থাকলেও ভোর রাত থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা। সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঘনকুয়াশা ঝরতে থাকে। সব চাইতে বেশি অসুবিধায় পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সেই সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। সরকারিভাবে ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে যৎ সামান্য কম্বল বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। তাড়াশ আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহেদুল হাসান জানান, ওই আবহাওয়া আরো ২-৩ দিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, সূর্যের আলো না দেখা গেলে সদ্য রোপণকৃত ইরি-বোরো ধানের চারা মরে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status