× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে উত্তরাঞ্চলের চা

বাংলারজমিন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৫ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার

রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অঞ্চলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলের চা অঞ্চল। সিলেট অঞ্চলের পরই এখন এ অঞ্চলের চায়ের অবস্থান। গত বছর পঞ্চগড়সহ উত্তরের পাঁচ জেলায় ১ কোটি ৩ লাখ বা ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। যা দেশীয় মোট উৎপাদনের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ। গতকাল সকালে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার ১০টি নিবন্ধিত ও ১৭টি অনিবন্ধিত চা বাগান, ৭ হাজার ৩১০টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে (নিবন্ধিত ১,৫১০টি) মোট ১০ হাজার ১৭০ দশমিক ৫৭ একর জমিতে চা চাষ হয়েছে। এসব চা বাগানসমূহ থেকে ২০২০ সালে  ৫ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি সবুজ চা পাতা উত্তোলন করা হয়েছে। যা থেকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও এর ১৮টি চলমান চা কারখানায় ১ কোটি ৩ লাখ কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলায় ৮৬৪২ একর জমিতে চা আবাদ রয়েছে। এর মধ্যে কাঁচা পাতা উৎপাদিত হয়েছে ৪,৬০,৫১,১৭৬ কেজি। এ পাতা কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে চা উৎপাদিত হয়েছে ৯৮,৯৭,০৭০ কেজি। এর আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে ১ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৯ একর চা আবাদি বৃদ্ধি পাওয়াসহ ৭ দশমিক ১১ লাখ কেজি চা বেশি উৎপন্ন হয়েছে। তিনি আরো জানান, চায়ের আমদানি কমে যাওয়া ও রপ্তানি বেড়ে যাওয়ার কারণে নিলাম মার্কেটে বেশি দাম পাওয়ায় চা চাষিরাও কাঁচা চা পাতার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামনের দিনগুলোতে পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলোতে অনেক বেশি জমিতে চা আবাদ হওয়ার পাশাপাশি প্রতি বছর রেকর্ড পরিমাণে চা উৎপাদিত হবে। আর পঞ্চগড়ে নিলাম মার্কেট হলে উত্তরের চা চাষিরা আরো লাভবান হবে। কোভিড পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলামের ব্যবস্থাপনায় উত্তরবঙ্গের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা বাগান পরিচর্যা ও পাতা তোলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এর ফলে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ড. মামুন আরও বলেন, সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড় ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এলাকা। দিন দিন উত্তরাঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা চাষ সমপ্রসারণের জন্য চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। চাষিদের স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। চাষিদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’ হাতে কলমে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চাষিদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান দিতে ইতিমধ্যে ‘দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এ আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চা চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, চাষের নানান রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকন ও চা চাষি মতিয়ার রহমান, আনিসুজ্জামান নতুন চা পাতার ন্যায্য মূল্য অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে সেচ সুবিধা ও সার সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এসব নিশ্চিত হলে দিন দিন চায়ের চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের খামার তত্ত্বাবধায়ক ছায়েদুল হক, চা কারখানা মালিক আলহাজ জাহেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর