× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা-দিল্লি কন্স্যুলার ডায়ালগ /যেসব ইস্যু আলোচনায় থাকছে

শেষের পাতা

মিজানুর রহমান
২৫ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার

ভিসার শর্ত ভঙ্গ, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছায় সীমান্ত পাড়ি দেয়া বিশেষত জলসীমা লঙ্ঘন, অপরাধ সংঘটন কিংবা স্রেফ পাচারের শিকার হয়ে জেল বা শেল্টার হোমে আটকে থাকা উভয় দেশের নাগরিকদের স্বভূমে ফেরানোর প্রক্রিয়া সহজীকরণে এক তাৎপর্যপূর্ণ সংলাপে বসছেন বাংলাদেশ ও ভারতের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। আগামী ২৮শে জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে হবে বহুল প্রত্যাশিত সেই কন্স্যুলার ডায়ালগ। দীর্ঘদিনের ওয়ার্মআপের পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রথম ঢাকা-দিল্লি কনস্যুলার ডায়ালগ হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতির ঘাটতি এবং পরবর্তীতে করোনা মহামারির ভয়াবহতায় প্রায় ৩ বছর বিরতিতে এবার বাসছে কাঙ্ক্ষিত সেই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। যার সময়ক্ষণ এবং এজেন্ডা এখন চূড়ান্ত প্রায়। এ নিয়ে গত ক’দিন ধরে ঢাকায় সিরিজ বৈঠক হচ্ছে। ভারতের কোন কারাগার বা শেল্টার হোমে কত বাংলাদেশি রয়েছেন? কার কেস কি? কতজনের কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে? করোনাকালে আচমকা আটকে পড়া তাবলিগ জামাতের লোকজনের আটকাদেশের কী অবস্থা? ইত্যাদি নানা বিষয়ে আপডেট বা সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে দিল্লিস্থ বাংলাদেশ মিশনে চিঠি পাঠিয়েছে সেগুনবাগিচা। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেই চিঠির জবাব আসেনি।
কূটনৈতিক সূত্র সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। আর ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকছেন কনস্যুলার দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিল্লির বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য্য। বৈঠকে মোটা দাগে বেশকিছু বিষয় আলোচনা হওয়ার আভাস মিলেছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পাচারের শিকার এবং ছোটখাটো অপরাধে উভয় দেশে আটকেপাড়াদের দ্রুত ফেরানোর বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর বা এসওপি চূড়ান্তকরণ। দ্বিতীয়ত, কোনো কারণে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অবস্থান করলে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে অভিন্ন জরিমানা আদায় নিশ্চিতকরণ। উল্লেখ্য, ভারতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মুসলিম নাগরিকরা কোনো কারণে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অবস্থান করলে তাকে ৩০০ ডলার জরিমানা গুনতে হয়। সে ক্ষেত্রে অন্যদের জরিমানা হচ্ছে ১০০ রুপি। ঢাকা চাইছে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি কোনো কারণে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করলে তবে কোনো গুরুতর অপরাধে না জড়ালে ধর্ম পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে সহনীয় মাত্রায় জরিমানা অর্থাৎ ১০০ রুপি আদায় করা। জরিমানা আদায়ে বৈষম্যের বিষয়টি ভারত সফরকারীদের তরফে বহুদিন ধরে সেগুনবাগিচায় জমা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, সীমান্ত হত্যা এবং গুরুতর অপরাধী প্রত্যার্পণের বিষয়টি অত্যাসন্ন কনস্যুলার ডায়ালগের আওতার বাইরে থাকায় এ নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না বলে আগাম জানানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর