মার-এ-লাগো। এই নামটির সঙ্গে আমেরিকানরা অতি সহজেই পরিচিত। ডনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ায় অনেকেই হয়তো খুশি। তবে খুশি নয় এই মার -এ- লাগোর বাসিন্দারা। এখানে অনেকগুলো রিসোর্ট রয়েছে। যেখানে আরামে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সিএনএন সূত্রে খবর, এই গোটা বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প একটি বই লিখতে চলেছিলেন। কিন্তু কেন ঐতিহাসিক লরেন্স লিমারের মতে, এই স্থানে প্রেসিডেন্টের একটি বাসস্থান ছিল। ট্রাম্প ধীর পদক্ষেপে যখন নিজের দায়িত্ব থেকে সরে গেলেন তখন কোথাও গিয়ে এখানকার বাসিন্দাদের মনেও যেন একটি দাগ পড়লো। এই স্থানে নতুন প্রেসিডেন্ট আসুক বা না আসুক করোনাকালে এই স্থানটির যে ক্ষতি হয়েছে তার থেকে বের করে আনার জন্যই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে সবই এখন অতল জলের গভীরে।
ট্রাম্প যদি এখানে থাকতেন তবে এই স্থানটির জন্য পর্যটকরা ২ লক্ষ পাউন্ড দিতেন। যা এখানকার ব্যবসাকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যেত। নিজের জীবনের অনেকটা সুখের সময় ট্রাম্প কাটিয়েছেন এখানেই। তাই ফের তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন এমনই আশা করেছিলেন এখানকার বাসিন্দারা। ট্রাম্পের জয়ের পর এখানে একটি পার্টির আয়োজন করা হতো। যেখানে প্রচুর মানুষ ট্রাম্পকে অভিবাদন জানাতেন। তবে সেসব এখন অতীতের পাতায়। বর্তমানে এই স্থানটিতে একেবারে শ্মশানের পরিবেশ। ২০১৯ সালে করোনা ছিল না। সেই সময় নজির তৈরি করে মার -এ- লাগোতে প্রায় ২৪ মিলিয়ন অর্থ উপার্জন করেছিল। তবে এবার প্রশ্ন উঠেছে, ফের কি ট্রাম্প এখানে নিজের বাসস্থান করে থাকতে পারবেন? হাতের সবকটি আঙুল যেমন সমান হয় না, তেমনি এখানেও বেশকিছু ট্রাম্প বিরোধী রয়েছেন। তাই এই পরিবেশে ট্রাম্প এখানে হয়তো আর আসবেন না।