× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজশাহীতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বাংলারজমিন

আসলাম-উদ-দৌলা, রাজশাহী থেকে
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

বিএনপির দুর্জয় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে আবারো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দলটি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। প্রতিটি কর্মসূচিতেই নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ১লা মার্চ থেকে ৩১শে ডিসেম্বর ১০ মাসব্যাপী মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার বিকেলে ৪টায় নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সমন্বয় সভা থেকে সুবর্ণজয়ন্তীতে চমক সৃষ্টির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়। এজন্য ১২টি কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। যে কমিটি স্বাধীনতার প্রকৃত চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরতে কাজ করবে। রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়ার জন্য পৃথক পৃথক কমিটি গঠিত হয়েছে।
সমন্বয় সভায় মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সভা পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন। সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধা, বীরউত্তম, বীর প্রতীকদের নিয়ে গঠিত দল হিসেবে বিএনপিকে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে বলে গুরুত্ব আরোপ করেন।  সভাপতির বক্তব্যে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতে পারতেন। তবে আমরা সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পারতাম কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ইতিহাসের ধ্রুব সত্যটি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘স্বাধীনতার ঊষালগ্নে জাতির সকল সংকটময় মুহূর্তে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বাধীনতার ঘোষক দেশের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম, আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর দল। ১লা মার্চ থেকে ৩১শে ডিসেম্বর ১০ মাসব্যাপী বিএনপি ‘আমি মেজর জিয়া বলছি, তোমরা হাতিয়ার তুলে নাও” ঘোষণা নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বীরউত্তম, বীরবিক্রম, বীরপ্রতীক মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তৈরি দল। সেজন্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিএনপি ১০ মাসব্যাপী যে কর্মসূচি করবে তা অনেক গুরুত্ববহন করে। বর্তমান অনির্বাচিত সরকার একটি বিশেষ দেশের তাবেদার সরকার। তাদের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে হবে। ১২টি শক্তিশালী কমিটি সূবর্ণজয়ন্তীতে মাঠে কাজ করবে। মনে রাখবেন, আজকে রাজশাহী যা চিন্তা করে, পরেরদিন তা সারাদেশ চিন্তা করে।’
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘সূবর্ণজয়ন্তী রাজশাহী বিভাগে জাঁকজমকভাবে পালন করতে হবে। রাজশাহী মহানগর হলো, এই বিভাগের প্রাণকেন্দ্র। সরাদেশে কর্মসূচি হবে। রাজশাহীতে আমরা ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি করতে চাই। শহরের সবচেয়ে উচু একটি বিল্ডিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ারউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার ডিজিটাল ডিসপ্লে থাকবে।’
রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, চট্টগামে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। আর গতকাল থেকে নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামে কোন বিএনপি নেতাকর্মীকে তারা মুক্ত থাকতে দিচ্ছে না। রাজশাহী জেলা বিএনপির সভায় আবু সাঈদ চাঁদ বলছেন, ‘কিসের নির্বাচন? কোন পোস্টার মারতে দেয় না, ভোট চাইতে দেয় না।’ আসলেই দেশে কোন ভোট নাই, ভোটের অধিকার নাই। যারা ভোট-নির্বাচনকে হত্যা করলো সে তিন হুদাকে আগামীদিনে জনতার আদালতে এনে বিচার করা হবে। এরআগে রাজশাহী বিভাগের তিন জেলা নাটোর, পাবনা ও রাজশাহীতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর