× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিংগাইরে আবাসিক এলাকায় মুরগি ও গরুর খামার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

বাংলারজমিন

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে আবসিক এলাকায় মুরগি ও গরুর খামার স্থাপন করায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার ফার্মের মালিকদের দারস্থ হয়েও কোনো ফল পাননি। ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে পরিবেশ দূষণ ও জনদুর্ভোগ হতে রেহায় পেতে গত ২০শে জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই গ্রামের কানু মিয়ার পুত্র হাজী সুরুজ মিয়া ও রেজাউল হকের পুত্র আনিসুর রহমান নিয়মনীতি না মেনে পরিবেশ দূষণ করে গরু ও পোলট্রি ফার্ম স্থাপন করেছেন। এ ফার্ম দু’টির গন্ধে এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। গত রোববার দুপুরে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে দেখা যায়, হাজী সুরুজ মিয়া  আবসিক এলাকার মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সংলগ্ন উত্তর পাশে শতাধিক গরুর একটি ফার্ম করেছেন। ওই গরুর ফার্মের ময়লা আবর্জনা পূর্ব পাশের ডোবায় ফেলে হচ্ছে। অপরদিকে তার দক্ষিণ পাশে আব্দুর রশিদ টুকুর বাড়ি সংলগ্ন ৩ হাজার মুরগি নিয়ে আনিস এ্যাগ্রো ফার্ম স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুরগির ফার্মের গন্ধে আশেপাশের ৩টি গ্রামে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মুরগির খামারের পাশের বাড়ির দোলজান (৫০) অভিযোগ করে বলেন, দুর্গন্ধে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে বসবাস করতে পারছেন না। অনুরূপ অভিযোগ করেন প্রতিবেশী ফরিদ হোসেন, লিপি আক্তার ও আ. রশিদসহ অনেকে।
গরুর ফার্মের মালিক হাজী সুরুজ মিয়া বলেন, যেহেতু এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছে আমি দ্রুত ফার্ম সরিয়ে নিবো। মানুষের সমস্যা তৈরি করে  আবাসিক এলাকায় গরুর ফার্ম রাখবেন না বলে তিনি জানান।
এ্যাগ্রো ফার্মের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ৬-৭ বছর ধরে মুরগির ফার্মটি করে আসছি। ফার্মের বর্জ্যগুলো বাইরে ফেলে দেয়া হয়। সামান্য ঝগড়ার কারণে কিছুলোক ষড়যন্ত্র করছে।
জামির্ত্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর হালিম রাজু বলেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ফারুক আহম্মদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সাধারণত ইউএনও’র কাছে দিয়ে থাকেন। আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন  দিয়ে থাকি। তবে জাইল্যা গ্রাম থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর