× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলোকিত সাকিব

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আন্তর্জাতিক প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হন সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়বীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নতুন মাইলফলক গড়েন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। মিরপুরে করেন ২ হাজার পাঁচশ রান। যার মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্টেডিয়ামে ২৫০০ রান ও ১০০ উইকেটের ডাবল কীর্তি গড়েন সাকিব। বিশ্ব ক্রিকেটে আর কারো নেই এ কীর্তি। তৃতীয় ওয়ানডেতে বেশ কয়েকটি রেকর্ডের অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। যার দুটি বোলিংয়ে আর একটি ছিলো ব্যাটিংয়ে। এদিন হাফ সেঞ্চুরি করে ব্যাটিংয়ে অন্যন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব।

ঢাকায় দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষেই এই রেকর্ডের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছিল। ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের মাটিতে সাকিবের সংগ্রহ ছিল ৫৯৯৪ রান। দশম ওভারে কিওন হার্ডিংকে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে ৬ হাজার রানের মাইলফলক টপকে যান সাকিব। অবশ্য বাংলাদেশের মাটিতে তিন সংস্করণে ৬ হাজার রান তোলা প্রথম ক্রিকেটার নন তিনি। মুশফিকুর রহীম ও তামিম ইকবালও ৬ হাজার রান টপকেছেন। তবে সাকিব এক জায়গায় প্রথম। বাংলাদেশের মাটিতে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ন্যূনতম ৩০০ উইকেট ও ৬ হাজার রান তোলা প্রথম ক্রিকেটার সাকিব। এই মানদণ্ড চাইলে আরও অনেক নামিয়ে আনা যায়। এমনকি ২ হাজার রানে নামিয়ে আনলেও সাকিবের ধারেকাছে কাউকে পাওয়া যাবে না। কেননা, বাংলাদেশের মাটিতে উইকেট শিকারে দ্বিতীয় (২১৫) মাশরাফি বিন মুর্তজার রান ১৪৯৪। এই রান তিনি করেছেন দেশের মাটিতে। পরিসংখ্যান বলছে, একটি নির্দিষ্ট দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (তিন সংস্করণ) ন্যূনতম ৬ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট নেওয়া প্রথম ক্রিকেটার সাকিব। গতকাল দেশের মাটিতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৬ হাজার রান টপকে নিজের পুরোনো এক রেকর্ড পরের ধাপে তুলেছেন তিনি। পুরোনো বলতে নির্দিষ্ট একটি দেশে ন্যূনতম ৫ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট নেয়া প্রথম ক্রিকেটারও ছিলেন সাকিব। এই মানদণ্ডে সাকিবই একমাত্র ক্রিকেটার।
ইনজুরির কারণে গতকাল নিজের বোলিং স্পেল শেষ করতে পারেননি সাকিব। নিজের ৪.৫তম ওভার শেষে ইনজুরি মাঠ ছাড়েন এ বাঁহাতি স্পিনার। এসময় ১২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের মাটিতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সাকিবের শিকার ৩৩৬ উইকেট। তখন পর্যন্ত দেশের মাটিতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে তার মোট রান ৬০৪৫। নির্দিষ্ট একটি দেশে সাকিব ছাড়া আর কোনো ক্রিকেটারের কমপক্ষে ৫ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট নেয়ার নজির নেই। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ভারতীয় কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল দেব। ভারতকে ’৮৩ বিশ্বকাপ জেতানো সাবেক অধিনায়ক নির্দিষ্ট একটি দেশে কমপক্ষে ৩০০ উইকেট পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু পিছিয়ে আছেন রানে (৪১৫৮ রান)। তার এই অর্জন ভারতের মাটিতে ৩১৯ উইকেট ও ৪১৫৮ রান। এরপর যথাক্রমে শন পোলক, স্টুয়ার্ট ব্রড, শেন ওয়ার্ন, হরভজন সিং, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ব্রেট লি। সাবেক প্রোটিয়া পোলক তার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৫৫৬ রান তুলেছেন। উইকেটসংখ্যা ৪৪৫। পোলক থেকে এ তালিকায় অনেকেটাই সাকিবের চেয়ে উইকেটসংখ্যায় এগিয়ে। কিন্তু রানের দৌড়ে এগিয়ে থাকায় নির্দিষ্ট এই তালিকার শীর্ষে উঠেছেন সাকিব।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৬১ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। এখানে তার শিকার ৯৮ উইকেট। এই স্টেডিয়ামে ১৬ টেস্ট খেলে ৩২ গড়ে ৬০ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাঠেই নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৩৬ রানে সাত উইকেট নেন এই বাহাতি স্পিনার। ওয়ানডেতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আরো অপ্রতিরোধ্য সাকিব। ১৬ ম্যাচ খেলে ১৬ গড়ে তার নামের পাশে ৩০ উইকেট। ছয়টি টি-টোয়েন্টি খেলে এই মাঠে সাকিব উইকেট পেয়েছেন আটটি। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট হবে একই স্টেডিয়ামে। ২৬৯ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট মাশরাফি বিন মর্তুজার। এই ফরম্যাটে সাকিবের শিকার ২৬৬ উইকেট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর