× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অজ্ঞাত আয়ের সন্ধান পুলিশের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাংলারজমিন

বগুড়া প্রতিনিধি
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

বগুড়ার সোনাতলা থানার এসআই আলমগীর হোসেনের ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকা আয়ের উৎস অজ্ঞাত বলে সত্যতা মিলেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এমন তথ্য। যাচাই-বাছাইয় শেষে ২৪শে জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের প্রেসনোটে বলা হয়েছে, এসআই আলমগীর ১৯৯৭ সালের ২৪শে এপ্রিল কনস্টেবল পদে ডিএমপিতে তৎকালীন দাঙ্গা দমন বিভাগে যোগদান করেন। পরে ২০১৩ সালের ২১শে জুলাই থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শাহাজানপুর থানা এবং ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বগুড়ার ডিবি কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের হাতে আসলে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এ সময় তিনি দুদককে তার সম্পত্তির বিবরণ দেন। সেখানে দেখা যায়, ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৭২ লাখ ৫১ হাজার ৭৮ টাকার মালিকানার ঘোষণা দেন।
তার এই ঘোষণা যাচাইকালে দেখা যায় তার নামে ৪৫ লাখ ২ হাজার ৭০১ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় এবং ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ২২ বছরে মোট ব্যয় পাওয়া যায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকার। ফলে তার পারিবারিক ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ পাওয়া যায় ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৮ টাকা। সে ক্ষেত্রে পুলিশের ওই এসআইয়ের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকার পাওয়া যায়। এই টাকার উৎস অজ্ঞাত মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(০১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিধায় তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৪শে জানুয়ারি বগুড়ায় মামলা হয়েছে। আলমগীর হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার শৌলীসবলা গ্রামের মৃত মবজেল হোসেনের ছেলে। এ বিয়য়ে মামলার বাদী বগুড়া জেলা দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, আমাদের কাছে এসআই আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত আয়ের তথ্য আসে। পরে সেই তথ্য যাচাই-বাছাইকালে সত্যতা মেলে। ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে সোনাতলা থানার এসএই আলমগীর হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মামলার বিষয়টি তার জানা নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর